মধুপুরে বন বিভাগের বেদখলে থাকা ১৫৭ একর বনভূমি উদ্ধার

0

নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের জাতীয় উদ্যান দোখলা রেঞ্জের আওতাধীন বেদখলে থাকা ১৫৭ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব ভূমি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি  নিশ্চিত করেছে মধুপুর বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ।

উদ্ধারকৃত জমিতে শালবনের পরিবেশসম্মত টেকসই বাগান ও পশুখাদ্যের জন্য সুফল প্রজেক্টের বনায়ন করছে বন বিভাগ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া জমিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন ও পশুখাদ্যের চারা গাছ সৃজন করা হয়েছে। এই  প্রজেক্ট দেখতে সোমবার(৭ সেপ্টেম্বর) বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, বন সংরক্ষক আরএসএম মনিরুল ইসলাম,  টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জহিরুল হক সেখানে যান।

বন বিভাগ সূত্রটি জানায়, মধুপুরের দোখলা রেঞ্জের ছেগামারা, জয়নাগাছা, আমলীতলা ও অরণখোলা এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে  প্রভাবশালীরা ২০-২৫ বছর ধরে আনারস, কলা, আদা, হলুদসহ নানা কৃষি ফসল চাষ করে আসছিলেন। বন বিভাগ এসব জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১৫৭ একর জমির আনারস ও কলা বাগান কেটে দখলমুক্ত করে।

মধুপুর শালবনের ঐতিহ্য ফেরাতে ও সুফল প্রজেক্টের আওতায় দেশীয় প্রজাতির বাগান ও পশুখাদ্যের পরিবেশসম্মত বাগান এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার জন্য এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ উদ্ধার অভিযানে কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিএমসি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে দোখলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, দোখলা রেঞ্জের শালবনের ভেতরে ছেগামারা, জয়নাগাছা, আমলীতলা ও অরণখোলা এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে ২০-২৫ বছর ধরে আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ চাষ করে আসছিল একটি চক্র। এসব জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মধুপুরের দোখলা রেঞ্জে যত দিন কর্মরত আছি, তত দিন পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রাষ্ট্রের এ বন বিভাগের জমি উদ্ধার করে মধুপুরের গড়কে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মধুপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক বলেন, আমাদের মধুপুর-ধনবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি মহোদয় সব সময় খবর রাখেন। মধুপুরের শাল গজারির গড়কে প্রাকৃতিক রূপ ফিরিয়ে দিতে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করার নির্দেশ দেন। তবে মধুপুরে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বনের সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। পাশাপাশি আমরাও চেষ্টা করব যাতে বন বিভাগের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে না পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.