নদী খনন প্রকল্পের নাম ব্যবহার করে কালিহাতীর ভুক্তায় অবৈধভাবে বালু বিক্রিসহ ঝুঁকির মুখে বসত-ভিটে

0

নিউজ ডেস্ক:
নদী খনন প্রকল্পের নাম ব্যবহার করে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের ভুক্তা গ্রামের মৃত হালিম বেপারীর ছেলে তোফাজ্জলের নেতৃত্বে পুংলি/ঝিনুক নদী হতে দীর্ঘ দিন যাবৎ রাতে বালু বিক্রির অভিযোগ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় আদিপত্য বিস্তার করে রেখেছে বালু খেকো তোফাজ্জল হোসেন। শনিবার (৭মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পুংলী/ঝিনুক নদীতে ৮-১০ টি ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩-৪টি বাংলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু অন্যত্র কিছু দুরে ফেলে রাতের আধারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও উত্তোলনকৃত বালু রাতের আধারে দুটি ভেকু মেশিনের সাহায্যে শত শত ট্রাক জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাতের আধারে বালু বিক্রি করায় প্রশাসনের চোখকে খুব সহজেই ফাঁকি দেয়া সম্ভব হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার স্থানীয়রা জানান, মাটি-বালু ব্যবসায়ী তোফাজ্জল ৫-৬ বছর পূর্বেও সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। কয়েক বছর যাবৎ অবৈধ মাটি ও বালু ব্যবসা করে তিনি রাতারাতি টাকা পয়সার মালিক হয়ে উঠেছে। এলাকায় আদিপত্য বিস্তার করেছে। তার এ অবৈধ ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গতবছর তিনি এক যুবককে তার পালিত সন্ত্রাসী দ্বারা হামলা করেন। গ্রামে প্রভাব বিস্তার করায় নিরহ সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করে না। এদিকে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী পাড়ের কাঁচা রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী পাড়ের জনগণ অবৈধ বালু খেকোর হাত থেকে তাদের ভিটে মাটি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে জুরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীনরা আরো জানান,এই নদী খননের কারণে আমাদের বসত ভিটে সব ঝুকির মুখে। বর্ষা-মৌসুম সামনে নদীতে পানি আসার সময় হয়ে আসছে। এখন এ সব ড্রেজার বন্ধ না করলে আমাদের ঘর-বাড়ী বিলিন হয়ে যাবে। তাই তারা বন্ধের দাবী জানান । এছাড়া নদীটির উপর একটি ব্রিজ আছে। সেটিও ঝুকির মুখে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, নদী খনন প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের হওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় কেউ যদি বালু বিক্রি করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান-প্রকল্পের আওতায় বালু বিক্রির কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বাংলা ড্রেজার এর কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান সাময়িক ভাবে ড্রেজার গুলি পারমিশন দেওয়া হয়েছে কিন্তু মানুষের ক্ষতি করে নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.