নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, দাড়ি রাখা, টাখনুর উপরে কাপড় পরা ও ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ প্রকাশ করাকে জঙ্গীবাদের লক্ষণ বলে সনাক্ত করায় পীযুষকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক এ উগ্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক উগ্র সংগঠনের বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হওয়ায় ৯৫% মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পীযুষ নিজের দায় এড়াতে বানোয়াট বাহানা অবলম্বন করলেও জাতি তা মেনে নিবে না।
আল্লামা আতাউল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক একটি ভূইফোড় সংগঠন এতগুলো জাতীয় দৈনিকে এতবড় বিজ্ঞাপন কারো ইন্ধন ছাড়া ছাপতে পারে না। পীযুষকে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিলেই এর আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। কিছু উগ্রবাদী হিন্দু সর্বদাই উস্কানী দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আজ (১৭ মে) শুক্রবার বাদজুমা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা চৌরাস্তায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা মাসউদুর রহমান প্রমুখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যারা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা করে তাদের শাস্তির জন্য সংসদে আইন পাশ করতে হবে। পবিত্র ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নিজেদের অসতর্কতার পরিচয় দিয়েছে এবং এদের প্রতি জনগনের ঘৃণ্য মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ৯৫% মুসলমানের দেশে ইসলাম, প্রিয়নবীর সুন্নত ও ঈমান-আমল নিয়ে বেয়াদবী করবে আর মুসলমানরা নিরবে সহ্য করবে তা হতে পারে না। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মিটিয়ে দেয়া, চীনে রোযা রাখার অপরাধে মুসলমানদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং শ্রীলঙ্কার মসজিদে মসজিদে হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।
মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন বলেন, দাড়ি, ঈমান-আক্বীদা ও ইসলামী বিধানকে কটুক্তি করায় পীযুষ এখন পীচাশে পরিণত হয়েছে। দুদকের মামলার আসামী পীযুষ থেকে জাতিকে সম্প্রীতি শিখতে হবে না। ইসলামই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সর্বোচ্চ উদাহরণ।
মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন বলেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ধর্ম অবমাননাকারী বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশে অসম্প্রীতির বীজ বপন করতে চাইছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।