সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্তঃঃমধুপুরের বাসন্তী রেমা বিরোধীয় জমিটি ভোগদখলের সুযোগ পাচ্ছেন

0

আরমান কবীরঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে গারো আদিবাসী নারী বাসন্তী রেমার কলা বাগান কেটে ফেলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বনবিভাগের দোখলা বাংলোতে প্রশাসন, বনবিভাগ ও গারো সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে গারো নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রেক্ষিতে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত বাসন্তী রেমাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরসঙ্গে মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু ১৫ হাজার টাকা ও শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ৫ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নগদ প্রদান করবেন।

এছাড়া বাসন্তী রেমার দখলে থাকা জমি তিনি ভোগ দখল করবেন। তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কারের বাইরেও বিভাগীয় নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিনা নোটিশে বন এলাকায় কারও কলা-আনারস তথা কৃষি ফসল কাটা হবেনা বলেও সিদ্ধান্ত হয়। গারো সম্প্রদায়ের অন্যান্য দাবিগুলো প্রশাসনের উচ্চ মহলে জানানো হবে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জামিরুল ইসলাম, মধুপুর উপজেলা নির্বহী অফিসার আরিফা জহুরা, সহকারী কমিশনার(ভূমি) এমএ করিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, সহকারী বন সংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদার, মধুপুর সার্কেলের পুলিশ অফিসার কামরান হোসেন, দোখলা রেঞ্জ অফিসার আব্দুল আহাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক হেরিদ সাংমা, এসিডিএফ সভাপতি অজয় এ মৃ, টিডবিøউএ চেয়ারম্যান উইলিয়াম দাজেল, বাগাছাস সভাপতি জন জেত্রা, জিএসএফ সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল সহ বৈঠকে প্রশাসন, বনবিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও গারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলোর বাইরে মধুপুর বন এলাকার কয়েকশত গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.