নাগরপুরে সংস্কারের নামে খেলার মাঠের বেহাল দশা

0

নাগরপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠটি সংস্কারের নামে বেহাল দশা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা স্থানীয় ভাবে ধুবড়িয়া মাঠ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোযার খোরশেদ আলম বাবুল, বিপিএল খেলা ব্যাটসম্যান নাজমুল হক মিলন এই মাঠেই অনুশীলন করেছে। বর্তমানে এই মাঠ সংস্কারের নামে প্রায় তিন মাস ধরে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। রমজান মাসে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বিকাল হলে ছোট-বড়রা সবাই ছুটে আসে খেলার মাঠে। ফুটবল, ক্রিকেট খেলা ছাড়াও শরীর চর্চা করতে আসে বিভিন্ন বয়সের লোকজন। কিন্তু মাঠটি বর্তমানে খেলাধুলার অনুপোযোগি থাকায়, কোন ধরনের খেলাধূলা করা যাচ্ছে না। গত প্রায় তিন মাস যাবদ এই মাঠ খেলার অনুপোযোগি হয়ে পড়ে আছে।
জানা গেছে, ১৭-১৮ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯টন খাদ্যের বিনিময়ে মাঠটি সংস্কারের কাজের কর্মসূচী দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। পুরনো ঐতিহ্যবাহী মাঠটির বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে মাঠটি মেরামত করার জন্য তৎকালিন তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. তারানা হালিম প্রকল্পটি বরাদ্দ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন স্থানে মাটির বড় বড় স্তুপ পড়ে আছে। মাঠে কোন ক্রীড়ামোদী নেই । মাঠের এক কোণে ছোট বাচ্চারা ফুটবল খেলছে। তারা জানায়, মাঠের এই অবস্থায় তাদের খেলাধুলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রকল্প নিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ ধীরগতিতে চলায় কবে নাগাদ তারা মাঠ ফিরে পাবে তা কেউ বলতে পারছে না।
ধুবড়িয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে ঈদের নামাজ নিয়েও অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় তিন মাস যাবৎ আমরা এই মাঠে কোন রকম খেলাধূলা করতে পারছি না। মাঠের এমন চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরে র্উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না। মাঠে খেলাধুলা না করতে পেরে এখন আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন দ্রুত খেলার মাঠটি সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে দেন।
এই প্রকল্পের সভাপতি শাহাবুল আলম দুলাল বলেন, আমি এ প্রকল্পের সভাপতি থাকায় এ পর্যন্ত সোয়া পাচঁ টন মাল উত্তোলন করে সে মোতাবেক মাটি ফেলেছি বরাদ্দকৃত বাকি মাল পেলে কাজ সম্পন্ন করবো।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান, প্রকল্পের যে পরিমান মাল ছাড় দিয়েছি সেই টুকু কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়নি তাই পরের কিস্তির ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই এর সমাধান করতে পারবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.