টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৯ জন

0

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে মা-ছেলেসহ এমপি হতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নয়জন প্রার্থী। ইতোমধ্যেই দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন তারা। এসব প্রার্থীরা নৌকার টিকিট পেতে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে লবিং থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে তৎপর রয়েছে। যদিও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি আসনটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর ও মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। এদিকে, গত সোমবার থেকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়। তিনদিন ব্যাপী এই মনোনয়নপত্র আহবানের কার্যক্রম বুধবার শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌকার মাঝি হতে মির্জাপুরের এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন নয়জন এমপি পদপ্রার্থী। জাতীয় সংসদের এ আসনটির উপ-নির্বাচনে এমপি হতে আওয়ামী লীগের নয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। তারা হলেন- প্রয়াত এমপির স্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ঝর্ণা হোসেন, তার ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সভাপতি খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল ও তৌফিকুর রহমান তালুকদার রাজিব, মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জ্বল এবং মধুমতি ব্যাংকের পরিচালক ও ইবিএস গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই। প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। তার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.