টাঙ্গাইলে শীত বাড়ার সাথে সাথে জমে ওঠেছে হকার্স মার্কেট

0

নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে শীত জেঁঁকে বসেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদর ও কোর্ট এলাকায় পুরাতন শীত বস্ত্রের মার্কেট জমে ওঠেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের শীতের কাপড়ের চাহিদা মেটাতে সেখানে তিন শতাধিক দোকান বসেছে। নিম্ন আয়ের ক্রেতারা দাম কম পেতে ভিড় জমাচ্ছেন রাস্তার পাশে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে ওঠা দোকান গুলোতে। পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার জমে ওঠলেও গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি।।
টাঙ্গাইলের শীতের পুরাতন কাপড়ের বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ও কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় তিন শতাধিক দোকান বসেছে। এ স্থানের প্রতিটি দোকানই শীতের কনকনে ছোঁয়া লাগার সাথে সাথেই জমে ওঠেছে কেনাকাটা। এ মার্কেটটি মূলত গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান।
পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় ক্রয়ের জন্য ঝুঁকছে মানুষ। গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা টাঙ্গাইল কোর্ট চত্ত্বর ও জেলা সদরের হকারদের বিক্রি করা গরম কাপড়ের মার্কেট। জেলা প্রশাসন ও আদালতে প্রয়োজনীয় কাজে আসা মানুষগুলোর দৃষ্টি আকর্ষনে হকাররা নানাভাবে নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষনে হাক-ডাক দিচ্ছেন।
পৌর এলাকার ক্রেতা গৃহবধূ মাহবুবা আকতার, হালিমা বেগম, মাজেদা খাতুন, দেলদুয়ারের জাহাঙ্গীর হোসেন, আলম মিয়া, রবিন খান, বাসাইল উপজেলার আজমত আলী, লোকমান হোসেন সহ অনেকেই জানান, গত বছর মহিলাদের যে পাতলা সোয়েটার ১০০-১২০ টাকা দাম ছিল, এবার শীত আসার শুরুতেই তা কিনতে ১৫০-২০০ টাকা লাগছে। খুব প্রয়োজন ও শীত নিবারণের জন্য বাধ্য হয়েই তারা চড়া দামে কাপড় কিনছেন। শহরের কলেজ পাড়ার গৃহিনী রোকেয়া বেগম, জাকিয়া সুলতানা ও কলেজছাত্রী ইসরাত জাহান জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য তারা। সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের শীত নিবারণ ও ঘরে পড়ার জন্য অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন, কিন্তু যে দাম দেখছেন তাতে এ মার্কেটেও তাদের কেনাকাটা অসম্ভব হয়ে ওঠছে।
সদর উপজেলার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী রজিব মিয়া, মো. মাখন মিয়া জানান, গত বছর পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট চট্টগাম থেকে সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায়। তুলনায় দুই থেকে আড়াই হাজার এবং আরো একটু মান সম্মত বেল্টে ৪-৬ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে কেনা ও বেচা উভয়ই দূঃসাধ্য হয়ে ওঠেছে।
টাঙ্গাইল জেলা হকার্স লীগের সভাপতি মো. বাদশা মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবলু মিয়া জানান, তারা সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে সরকারি পরিত্যক্ত জায়গায় দোকান করে জেলার সাধারণ মানুষের সেবার পাশাপাশি নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। এখান থেকে জেলার ১২টি উপজেলার মানুষ সস্তায় শীতের কাপড় কিনে থাকেন। পরিত্যক্ত হলেও মাঝে মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করার কথা বলা হয়- যা আদৌ কাম্য নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.