টাঙ্গাইলে শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি

0

নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় অভিযোগে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করে। এতে বক্তব্য রাখেন,কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মিয়া, কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রফিকুল ইসলাম, স্কুল গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি মো.শরিফুল ইসলাম, সদস্য কহিনুর বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মো.আমিনুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীন, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, শিক্ষর্থী সাথী আক্তারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৯.০৪.২০১৮ তারিখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নে কাতুলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজী শিক্ষক আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পত্রটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটিকে প্রদান করা হয়। অভিযোগ করেন ঐ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর দাদা মো.মতিয়ার রহমান মতি। তিনি বলেন, তার নাতনী ভাল রেজাল্টের আসায় ঐ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট কোচিং করতেন। সেই সুযোগে শিক্ষক তার নাতনীর সাথে মাঝে মধ্যে অশোভন আচরন ও কুপ্রস্তাব দিতেন। তার নাতনী তার মায়ের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে তার মা আমাকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। আমি শিক্ষক আব্বাস আলীকে সংশোধন হতে বলি। সে সংশোধন না হয়ে উল্টো গত ১২.০৪.২০১৮ইং তারিখে তাকে প্রশ্নপত্র দাগিয়ে দেয়ার কথা বলে বিদ্যালয় ডেকে নেয়। সকল ছাত্রছাত্রী চলে গেলেও তাকে বসতে বলে ঐ শিক্ষক। পরে তার সাথে অশোভন আচরন ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। এক পর্যায়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিঃস্কার করা হয়। অভিযোগ পত্রটি জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা অফিসে পৌছলে গত ৩১.০৩.২০১৯ তারিখে বোর্ড চেয়ারম্যান বিষয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর প্রীতিশ কুমার সরকারের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানমকে তদন্ত করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার বাবুল চন্দ্র সরকার, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. ইমরান হোসেনকে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম। ৭দিন সময় নিলেও পরবর্তীতে এবিষয়ে আর কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.