টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি’সহ ১১দফা দাবীতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

0

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্তি’সহ ১১দফা দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। টাঙ্গাইল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্তি’সহ ১১দফা দাবীতে শাহবাগে ১১ অক্টোবর থেকে একটানা কয়েকদিন অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষকগণ।
এ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক হাইকেয়ার বধির স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহান, ফতেপুর অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোনিয়া তাসরিন, আইসড়া অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী লিজা, চেচুয়াজানি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক মফিজ অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আমজাদ হোসেন’সহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফতেপুর অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী। কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও এখনও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্ত হলেও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো বঞ্চিত হয়ে আসছে। আর বঞ্চিত হতে চাই না, আমরা এমপিওভুক্তি চাই। সরকারি বেতন ভাতা চাই। শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- ১. প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয় সমূহের একসঙ্গে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করতে হবে, ২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে বেতন ভাতা দিতে হবে, ৩. সব বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রীদের শতভাগ উপবৃত্তি ও যাতায়াত ব্যবস্থা করা, ৪. সব বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ নিশ্চিত করা, ৫. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রী উপযোগী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা, ৬. সব বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করা, ৭. প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহ নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা, ৮. শিক্ষক/কর্মচারীদের মান উন্নয়নমূলক ট্রেনিংসহ সংশ্লিষ্ট সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, ৯. শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা।
১০. প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহে আধুনিক থেরাপি সরঞ্জাম সরবরাহ’সহ থেরাপি সেন্টার চালু করা ও ১১. ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান’সহ আত্মনির্ভরশীল জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.