টাঙ্গাইলে কঠোর লকডাউনে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের কারিগররা দিশেহারা

0

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির কদর ও সুনাম রয়েছে সারাবিশ্বে। ঈদ-পূজা ‘সহ বিভিন্ন উৎসবে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রথম লকডাউন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের কঠোর লকডাউনে তাঁত ব্যবসায়ীরা দিশাহারা। জীবিকার তাগিদে কিছু পরিবার স্বল্প পরিসরে তাঁত শিল্পের কাজ শুরু করলেও তৈরি করা শাড়ির বেচাকেনা নেই হাট-বাজারে। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁত শ্রমিকরা। টাঙ্গাইলে কঠোর লকডাউনে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের কারিগররা দিশেহারা হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছে বিপাকে।

এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় তাঁত থাকলেও তাঁতি থাকবে না। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা বল্লা গ্রামে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করে তাঁত শিল্পে। উৎপাদিত টাঙ্গাইলের শাড়ি ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। বর্তমান সময়ে শেষ মুহূর্তের ঈদের বাজার ধরতে দিনরাত তাঁত বুনানোর কাজ করে যাচ্ছে কিছু কিছু তাঁতিরা। ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের টাঙ্গাইলের শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে।

বল্লা তাঁত শাড়ির একজন মহাজন জানায়, করোনা ও বন্যায় আমাদের তাঁতের শাড়ির ব্যবসা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমার দুইটা তাঁতের শাড়ির কারখানা, ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় আমি এখন একটা কারখানা চালাচ্ছি। এভাবে দেশ চললে এ শাড়ির কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের কাছে লাখ লাখ টাকা নেই যে এখন লকডাউন সময় শাড়ি তৈরি করে গুদামজাত করবো এবং সময় ভালো হলে বিক্রি করে সংসার চালাবো। আমি সরকারি কোন সহযোগিতা ও ঋণ পাই নাই। তাঁত বোর্ড লিয়াজোঁ অফিসার রাধা শ্যাম রায় জানান, কঠোর লকডাউন এর জন্য কিস্তি আদায় কম হচ্ছে। আমাদের এখানে থেকে ক্ষুদ্র ঋণ ১৬৯৫ জন আর বৃহত্তম ২৫ জন পেয়েছে। কঠোর লকডাউনে সরকারি কোন সহযোগিতা তাঁতিরা পাবে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.