টাঙ্গাইলে আদিবাসী নারীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন:তিন দিনে গ্রেপ্তার হয়নি কোন আসামি

0

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মালিরচালা গ্রামে চুরির অপবাদে আদিবাসী নারী সন্ধ্যা রানীকে(৩৫) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সন্ধ্যা রানীর করা মামলার তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আদিবাসী কোচ ইউনিয়নের যুগ্ন-আহবায়ক রতন চন্দ্র কোচ, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি শ্রী চন্দন কোচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটি সদস্য জন জেত্রা প্রমুখ।
এই প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুভাস চন্দ্র সাহা বলেন,ঘটনাটির সুষ্ট তদন্ত করে দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। তাহলে ভবিষৎতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।

তিন দিনে আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) কাজী এদিব লুনা বলেন, আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের গ্রেপ্তারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে । আশা করছি, দ্রুতই আসামীদের গ্রেপ্তার করা যাবে।

উল্লেখ, চুরির অপবাদে সন্ধ্যা রানী (৩৫) নামে বর্মন সম্প্রদায়ের এক আদিবাসী নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যা রানীর ছেলে পলাশ (৮) ঘটনার ১৫ দিন আগে মালির চালা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ভূইয়ার বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পত্রিকা নিয়ে আসে। হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরি যায়। চুরি সন্দেহে ৩ জানুয়ারি পলাশকে তারা ধরে নিয়ে মারধর করেন এবং মালামাল চুরি করে তার মায়ের কাছে জমা দিয়েছে এ ধরণের কথা বলতে চাপ দেয়। ভয়ে পলাশ স্বীকার করে। পরে শনিবার মামলার আসামিরা সন্ধ্যা রানীর বাড়িতে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে করিম ভূইয়ার বাগানে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.