ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী

0

নিউজ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তার বেরিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক মোর্চা ঐক্যফ্রন্টে ভাঙন দেখা দিল।সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন।কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন না এটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল। আজ সেটি বাস্তবে রূপ নিল।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। একাদশ সংসদে শরিকদের না জানিয়ে বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী। ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও প্রধান দল বিএনপির কাছ থেকে ‘প্রত্যাশামাফিক’ উত্তর না পাওয়ায় জোট ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, রোববার রাত ১১টায় সিদ্ধান্ত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে থাকছে না কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সোমবার সকালে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কাদের সিদ্দিকী। এরপরই ফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তো ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের কাছে। ১০ জুন ফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে। কথা ছিল সেই বৈঠকে ব্যাখ্যা দেবে। কাদের সিদ্দিকী চিঠি দিয়েছেন। সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কে দিয়েছে, সেটা তো আমরা জানি না। এই সিদ্ধান্ত কে নিলো, কেউ বলতে পারে না। আমি নিজেও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, আমি জানি না। আমাদের নেতাও জানেন না। আমরা সবাই জানি, ড. কামাল হোসেন শীর্ষনেতা, কিন্তু তার কাছে তো আমরা জানতে চেয়েছি, কিন্তু তিনিও বলতে পারেন না। এসব কারণেই আমরা ফ্রন্ট ছাড়ছি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলছেন, নির্বাচন-পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া, সংসদে যোগদান, মির্জা ফখরুলের শপথ থেকে বিরত থাকা, ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শরিকদের মধ্যেই প্রশ্ন ও অসন্তোষ রয়েছে। এই অসন্তোষ থেকে গত ৯ মে পাঁচদলীয় এ ফ্রন্ট ছেড়ে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনের পর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছেন। এরপর ১০ জুন ফ্রন্টের বৈঠকে কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন, তিনি আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.