আস্থার প্রতিদান দিতে চান তরুন ব্যবসায়ী সজল

0

আরমান কবীরঃ বাবা কাউন্সিলর ছিলেন, দীর্ঘদিন জনসেবা করেছেন,সেই সূত্র ধরেই জনসেবায় আগ্রহী টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তরুন ব্যবসায়ী মামুন জামান সজল। সে লক্ষেই ৬নং ওয়ার্ডের ভোটারদের ঘরে-ঘরে গিয়ে জনসংযোগ করছেন তিনি। ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে সজলের এই জনসংযোগ। জনগণের প্রত্যাশা, বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে এবার ৬নং ওয়ার্ডে জনসেবার সুযোগ পাবেন এই তরুন ব্যবসায়ী সজল।
অত্যন্ত সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৬ সালে কলেজ পাড়া মির্জা বাড়ীতে জন্ম মামুন জামান সজলের। দাদা ডা. হাফিজ উদ্দীন ছিলেন তৎকালীন টাঙ্গাইল মহুকুমার জেল চিকিৎসক । বাবা আসাদুজ্জামান শাহ্জাহান সফল ব্যবসায়ী ও জন প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৭৭-৮৪ মেয়াদে টাঙ্গাইল পৌর সভার তৎকালীন দিঘুলিয়া ইউনিয়ন( বর্তমান ৪,৫,৬ ওর্য়াডের) মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব সাথে পালন করেন। এ ছাড়া তিনি টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, টাঙ্গাইল সমবায় মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক সহ একই মার্কেটের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার মামুন জামান সজল, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সদস্য।
ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক মামুন জামান সজল ১৯৯৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।স্ত্রী হাসিনা আফরোজের পিতা হামিদুল হক মোহন, টাঙ্গাইলের এক জন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। মেয়ে সাকিনাত জামান (দেয়া) ঢাকা ইডেন কলেজের ¯œাতক (সম্মান) পড়ছেন। ছেলে সাইয়ান জামান, শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদুল আকরাম খান ও ফারজানা লিজা সজলের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ দিন এই ওয়ার্ড উন্নয়ন বঞ্চিত। ভাঙ্গা-চোরা রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন গলির রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।এসব গলিতে চুরি-ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা ।বিশেষ করে পার্ক বাজার রোড চলাচলের অনুপযুক্ত ।বর্তমান কাউন্সিলকে বিভিন্ন সময়ে জানানোর পরও কাজের কাজ কিছু হয়নি। মামুন জামান সজল অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। তিনি কাউন্সিল প্রার্থী হওয়াতে এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। আশা করি তিনি নির্বাচিত হলে, এই সব সমস্যার সমাধান হবে।
কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মামুন জামান সজল জানান, তার বাবা টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন দিঘুলিয়া ইউনিয়নের(৪,৫ও ৬নং ওয়ার্ডের)মেম্বার ছিলেন। তাই জনদাবীর প্রতি সন্মান জানিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। দীর্ঘ দিন এলাকাবাসীর দাবী ছিল একজন ভালো ও যোগ্য কাউন্সিলর হোক ৬ নং ওয়ার্ডে।
তিনি আরো বলেন, এই ওয়ার্ডে ১৭টি গলি রয়েছে।সব ক’টি গলি’র রাস্তার অবস্থা খারাপ। এ ছাড়া প্যাড়াডাইস পাড়া খাল পাড় রোড চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারনে ওই এলাকায় কেউ বাসা ভাড়া নিতে চায় না। এ ছাড়া ওয়ার্ডের প্রায় সব ড্রেন এর ভেঙ্গে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ড্রেনের পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। গত ১০ বছরে এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। এ ছাড়া মাদক এই এলাকার একটি বড় সমস্যা। জনগন যদি আমাকে ভোটে নির্বাচিত করে, জনগণকে সাথে নিয়ে আমি ৬ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এই ওয়ার্ডের জনগণ আমার উপর আস্থা রেখেছে বলেই আমি কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছি। যদি নির্বাচিত হই, তাদের সেই আস্থার প্রতিদান কাজের মাধ্যমে দিতে চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.