আরমান কবীরঃটাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা দুইটি হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বের হয়েছে। বের হওয়ার পর জেল গেটে জয় বাংলা স্লোগানে মুখোরিত হয়। এর পর তার অনুসারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেই ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি । ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে।টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেলার আবুল বাশার বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে থেকে সাবেক এমপি রানা টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলো। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের কাগজ পত্র পাওয়ার পর সকাল পৌনে নয় টায় তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি জিডি করেন। এর এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এই মামলায় গ্রেফতার হন বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন, হিরন মিয়া। তারা আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত। পরে এ মামলায় ২০১৭ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপরে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আদালত দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।