সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় আঁচার শারদীয় দুর্গোৎসব আসন্ন। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারিগররা। ম-পে ম-পে প্রতিমা নির্মাণের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে সুদৃশ্য ফটক ও প্যান্ডেল নির্মাণ।
শ্রাবন মাসের জগন্নাথ দেবের উৎসবের দিন থেকেই প্রতিমা বানানোর কাজে হাত দেন কারিগররা। মনসা পুজার পর থেকে মূল প্রতিমায় মাটির প্রলেপের কাজ করেন টাঙ্গাইলের শিল্পীরা। ইতোমধ্যে দেবীর প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে মাটির প্রলেপের সর্বশেষ কাজ। যাকে বলা হয় দো’মাটি করা। এরপর শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ও রঙ-তুলির আঁচরে ফুটিয়ে তুলবেন প্রতিমার দৃষ্টিনন্দিত রূপ।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ার পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মলয় পাল ও মাদারজানী পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রল্লাদ ও মন্টু ঘোষ বলেন, শারদীয় দুর্গাপুজোয় যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ম-প এলাকায় চৌকিদার ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, মন্দির কমিটি এবং স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে। পুজা ম-পের নিরাপত্তায় আনসার-পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা নজরদারী থাকবে এবং পুজা নির্বিঘেœ পালন করতে পুলিশ প্রশাসন পুজারিদের সব রকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল শহরের শ্রী শ্রী বড় কালিবাড়ী মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, টাঙ্গাইলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় এ বছর ২০৮টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পঞ্জিকা মতে, ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা বেজে উঠবে। ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ ষষ্ঠী পুজা। ওই দিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাসর ধ্বণি। ৫ অক্টোবর সপ্তমী পুজা, ৬ অক্টোবর অষ্টমী পুজা, ৭ অক্টোবর নবমী, ৮ অক্টোবর দশমী বিহীত পুজা ও দশহারার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী পুজার সমাপ্তি হবে।
প্রতিবেদকঃ আরমান কবীর