নিউজ ডেস্কঃ : ফিলিপাইন কংগ্রেসে শুনানিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. রান্তি ফায়োকুন এর মতে ই-সিগারেট নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা, তথ্য-উপাত্ত ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেটে ‘ক্ষতি কম’ বলে মত দিলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এ বিষয়ে আরও গবেষণা করার কথা বলেছেন।
প্রচলিত সিগারেট ও ই-সিগারেট বা ভেপিং নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও বিভিন্ন গবেষণায় ই-সিগারেট বা ভেপিং কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে বলা হচ্ছে।সম্প্রতি ফিলিপাইন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ) ই-সিগারেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ নিয়ে এক শুনানিতে অংশ নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিনিধি। সেখানে দেশটির কংগ্রেস সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন রান্তি। শুনানিতে ই-সিগারেট বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা বিভাগের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর। ওই গবেষণায় আরও বলা হয়, ই-সিগারেট ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় অনেক কম।
তবে ফিলিপাইনে শুনানিতে প্রতিনিধি পরিষদের বাণিজ্য সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ওয়েসলি গাতচালিয়ান বলেছেন, ই-সিগারেট এখন জাতীয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট দুতের্তে তা আমদানি এবং জনপরিসরে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে এ শুনানির আয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরামর্শ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া রোজা বলেন,জাপানে ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। বাংলাদেশেও বর্তমানে ই-সিগারেটের নীতিমালা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমাদেরও উচিত এ পণ্যটিকে সঠিক নীতিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা এবং যা তামাক পণ্য ব্যবহার কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। ব্যবহারকারীদের কাছে ই-সিগারেট বেশ আকর্ষণীয়। ফলে এ প্রযুক্তি দ্রুত বিকাশমান। তবে ভেপিং নিষিদ্ধ নয় বরং নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।