স্টাফ রিপোর্টার : টাকার লোভে গৃহবধূ সুফিয়াকে হত্যা করে আপন বড় ভাইকে (চাচা মিনহাজ উদ্দিন) ফাঁসাতে গিয়ে এখন পুলিশের জালে আটকা পরে গেলো সুফিয়া হত্যাকারী স্বামী আলাল উদ্দিন (৫০), সন্তান শরীফুল ইসলাম (২৮) ও ভাইপো স্বপন। গত ১৩ অক্টোবর ভোর রাতে উপজেলার আজগানা পূর্বপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুফিয়া বেগম (৪৫)। পরদিন সকালে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের আলুয়া বিল থেকে সুফিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আসামী সুফিয়ার স্বামী আলাল উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কোর্টে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওহাটা ফাঁড়ির আইসি মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন আগে তার স্ত্রী সুফিয়ার নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা কিস্তিতে ঋণ উত্তোলন করে। তবে সপ্তাহে ৭ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে এবং আপন ভাইয়ের সাথে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের থাকায় ভাইকে ফাঁসাতে ১৩ অক্টোবর ভোর রাতে ৩ জন মিলে কুপিয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সুফিয়া বেগমকে। এরপর লাশ বিলে ফেলে স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মিথ্যে নাটক সাজায় স্বামী আলাল, সন্তান শরীফ ও সহযোগী স্বপন।
সুফিয়ার ভাই মেছের আলী বলেন, আমার বোনের হত্যাকারী যেই হোক না কেনো আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে পুলিশের প্রতি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রকৃত আসামীই যেন সাজা পায় সেই দাবিও করেন তিনি।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী আলাল উদ্দিন আজ কোর্টে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।