নিউজ ডেস্কঃ বাসা বাড়িসহ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গড়ে ২২.৮০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকেই কার্যকর হবে। রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৩২.৮০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারিত গড় ৭.৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৯.৮০ টাকা/ঘনমিটার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দাম বাড়িয়ে গৃহস্থালির ক্ষেত্রে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এক ও দুই চুলায় প্রতিমাসে ১৭৫ টাকা বেড়ে নতুন মূল্য হবে যথাক্রমে ৯২৫ ৯৭৫ টাকা।’
কমিশনের এ আদেশ আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানান মনোয়ার ইসলাম।
তিনি আরও জানান, সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ টাকা এবং হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে ২৩ টাকা।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা এবং চা-বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।
তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। আগের দাম প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকাই রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২.৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা কার্যকর করার কথা থাকলেও মার্চেই দাম কার্যকর হয়। আর জুলাই মাসের দাম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম গড়ে ১০২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো।
এই প্রস্তাবের ওপর ১১ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি করে বিইআরসি। শুনানির ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতায় দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয়া হলো।
সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।