নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও মোটরসাইকেল চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় জনৈক মোজাফফর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি একই এলাকার মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুলের ছেলে আনোয়ার হোসেন বিশাল (২৪) ও তার সহযোগী হত্যা মামলার আসামি জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাব্বির আহমেদ অমিত (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, বিশাল ও তার সহযোগীরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। তবে এলাকাবাসী এ নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে আকুর টাকুর পাড়া মোজাফফর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিশাল এর আগেও গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বাবা সরকারি দলের লোক হওয়ার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এছাড়া শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশালকে ছাড়িয়ে নিতে তার বাবা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতা থানায় তদবির শুরু করেছে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তারা জানান বিশাল এভাবে বারবার পার পাওয়ার কারণে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশাল শহরের ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চোরের অন্যতম হোতা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় থাকলেও তার বাবার কারণে বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইয়াবা সেবনের সময় বিশাল সহ তার কয়েকজন বন্ধুকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, করোনার কারণে টাঙ্গাইল শহরে ১০টি চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। সেসব চেকপোষ্টেগুলো সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া এই সময়ে শহরে চুরি, ছিনতাই যেন না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় জনৈক মোজাফফর হোসেনের বাড়িতে চুরি করার সময় উপস্থিত জনগন ২ চোরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা গ্রহণ করে শনিবার (২ মে) আদালতে হাজির করা হবে।