নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৩৬ দিন পর বাড়ি ফিরলো মির্জাপুরের এক চোখ হারানো মিলন! তার ডান চোখটি ইতিমধ্যে অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বা’ চোখটিও ফেলে দিতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের ডাঃ ফরিদুল হোসেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বানিয়াচালা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন-জাহানারা দম্পত্তির তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে সন্তান মিলন হোসেন (১৬)।
চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা মিলন ডিস সংযোগের কাজ করতো আপন চাচাতো ভাই মামুনের সাথে। কিন্তু সেই কাজের টাকা চাওয়াই যেন কাল হলো ছেলেটার।
চাচাতো ভাইয়ের টেস্টার দিয়ে করা আঘাতে আজ দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে তার। ৩৬ দিন ঢাকা মেডিকেলের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসার পর রবিবার (১৯ মে) ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ির পথে মিলন।মিলনের বড় বোন নাসরিন জানায়, গত ১২ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ইমপ্রেস নিউটেক্স গ্রুপ সংলগ্ন আনিস মুন্সির বাসায় চাচাতো ভাই মামুন ও অপর ডিস সংযোগকারী আলামিনের সাথে ডিস লাইনের তাঁর মেরামত করতে যায় মিলন।সেখানে কাজের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতে থাকা টেস্টার দিয়ে মিলনের ডান চোখে আঘাত করে চাচাতো ভাই মামুন। তারপর আর কিছু বলতে পারেনা মিলন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়।সেখানে তার ডান চোখটি অপারেশন করে ফেলে দেয়া হয়েছে। বাঁ চোখটিও অপসারণ করে ফেলতে হবে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল চক্ষু বিভাগের ডাঃ ফরিদুল হোসেন।
এ ঘটনার ২৬ দিন পর আহত মিলনের মা বাদী হয়ে ডিস লাইন সার্ভিসম্যান মিলনের চাচাতো ভাই মামুন (২৫), আল-আমিন (১৯) ও ডিশ ব্যবসায়ী কবির হোসেন (৪০) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, সংবাদকর্মী মারফত এমন ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি তবে মিলনের মায়ের করা মামলার কোন নথি শুক্রবার পর্যন্ত থানায় পৌছায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।