সখীপুর প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের সখীপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা চাচার হাত ভেঙে দেওয়ার মামলায় উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক (৫২), তার স্ত্রী মোমেনা আক্তারসহ ( ৪৫) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার(৬ মে) সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আবদুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌর ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা। ঘটনার পর সহকারী পুলিশ সুপার (সখীপুর সার্কেল) আবদুল মতিন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোলা প্রতিমা গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবদুল কাদের ও তাঁর সহোদর আবদুল বছির মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জের ধরে গত সোমারার বিকেলে বছির তার ছেলেদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের স্ত্রী রহিমা পারভীনকে মারধর করে। আহত রহিমাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আবদুল কাদের বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ভাই বছির ও ভাতিজা আবদুর রাজ্জাকসহ সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতিজা আবদুর রাজ্জাক দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বাদী চাচা গাজী আবদুল কাদেরের উপর হামলা করে। এতে তাঁর হাত ভেঙে যায়। এসময় বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই আহত আবদুল কাদেরের ছেলে কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী মোমনাসহ তিজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বলেন, মুক্তযোদ্ধা ও তাঁর বাড়িতে হামলার মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে সহকারী পুলিশ সুপার (সখীপুর সার্কেল) আবদুল মতিন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।