একে তো সরু সেতু।সেতুর রেলিং ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই। আবার সেতুর দুই পাশেই ধসে গেছে সংলগ্ন ঢালু সড়কের মাটি। সেতুটি সরু হওয়ার কারনে মাঝে মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া সেতু আশেপাশে বসবাসরত লোকজনদের পায়ে হেটে পার হওয়ার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে করে ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয় তাদের। বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকেন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীগন। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড এর বৈল্লা বাজার সংলগ্ন বৈল্লা সেতুর চিত্র এটি। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে ঝুঁকি পূর্ন বৈল্লা বাজার সংলগ্ন সরু এই সেতুটি।
এ সেতুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন বৈল্লা,ধুলেচর,হাজেরাঘাট,কাগমারা,চরকাগমারা এলাকার লোকজন। এছাড়াও মহাসড়ক দিয়ে তিন চাকার মোটরযান চলতে না দেয়ার কারনে টাঙ্গাইল শহর মুখি সড়কের কিছু সিএনজি ও অটোরিক্সার চলাচল করে এ্ই সরু সেতু দিয়ে । তাই সর্বক্ষন ব্যস্ত সড়কের এ সেতুটির ওপর ব্যাক্তিগত গাড়ি, পিক-আপ মতো গাড়িগুলো উঠলে অপর পাশ থেকে বাইসাইকেলের মতোও ছোট আকারের যানবাহন পার হতে পারেনা। বিশেষ করে শনি ও বুধবার বৈল্লা হাট বসার কারনে এ যানজট তীব্র রুপ নেয়।
এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি মকবুল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমার স্কুল শহরে হওয়ার কারনে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এ সেতু সরু হওয়ায় প্রতিদিনই যানজটের কবলে পরি। এতে করে অনেক সময়ই ক্লাশে পৌছাতে দেরি হয়।
বৈল্লা বাজারের কামরুর স্টোরের রফিকুল ইসলাম বলেন, এই সেতু অত্যন্ত সরু। এর কোন বিকল্প সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তিতে আছি। তিনি জানান, ছোট বাচ্চাদের আমরা সেতু পার করে দেই। গত ৬ মাসে অন্তত ৩ জন লোক সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়েছে। তাই আমাদের দাবী, যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি বড় করে নির্মান করে দেওয়া হোক।
সি এন জি চালক সাজেদুল বলেন, আমার সিএনজি নিয়ে সেতু থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। ফলে আমার সিএনজির বেশ ক্ষতি হয়। এ ছাড়া সিএনজিতে থাকা ৪ জন যাত্রী সহ আমি আহত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। যেহেতু মহাসড়কে সিএনজি চলতে দেয় না তাই বাধ্য হয়েই এই সরু সেতুর উপর দিয়ে আমার সিএনজি নিয়ে শহরে যাই। সেতুর ঠিক মাঝখানে ভেঙ্গে গেছে। কোন রকমে জোড়া তালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে সেতুটি। তাই দ্রুত এই সেতুটি বড় করে নির্মান করা হোক।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও টাঙ্গাইল পৌর সভার প্যানেল মেয়র মাহমুদা বেগম জেবু বলেন, এই সরু সেতু দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ পারাপার হয় । বিশেষ করে সপ্তাহে দুই দিন বৈল্লা বাজারে হাট বসে আর সেই হাটে এই এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার লোক এই সেতু ব্যবহার করে যাতায়াত করে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। যত দ্রুত সম্ভব এই সেতু ভেঙ্গে অধিক যান ও লোক চলাচলের উপযোগী সেতু নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদকঃ আরমান কবীর সৈকত