টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিংজুরী গ্রামে মেছের আলীর জমি বেআইনীভাবে রতন বিশ্বাসকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। এর বিরোধের জের ধরে মেছের আলীকে একঘরে করার অভিযোগ জানা গেছে। জানা যায়, মেছের আলী ভূমি বিষয়ে ২১সালের ৪মার্চ, ৩১ মার্চ আইনগত ব্যবস্থা নিলে, জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে আশুতোশ সরকার, গৌড় সরকার ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেছের আলীকে একঘরে করে তার ঈদের নামাজ, কুরবানী ও মুদি দোকান বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করেছে মেছের আলী। পরে ঐ জমিতে দুই দফায় চুরি, চাঁদা দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠে। ২০২১ সালের ৯ মার্চ সিংজুরী নাট মন্দিরে সন্ত্রাসীরা মিটিং করে ১০ মার্চ মুদি দোকানে হুমকি দিয়ে, ২৪ মার্চে রতন বিশ্বাসকে বাদী করে মেছের গং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা একটা হুমকির মামলা দায়ের করা হয়। ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল সিংজুরী নাট মন্দিরে সন্ত্রাসীরা পুনরায় মিটিং করে ২৭ এপ্রিল দোকানে হুমকি, ২ মে দোকান বন্ধ করে মেছের আলীর নামজারীতে আপত্তি দিয়ে ৭মে ও ১৮মে মেছের আলীর জমিতে ও গৃহে দুই দফায় চুরি, চাঁদাদাবি করায় মেছের আলী, সিআর ১৬৫/২১ মামলা করে ও থানায় অভিযোগ দেয় এবং দুই দফা আপত্তি শুনানী শেষে নামজারী অনুমোদন হয়। ভীত, সন্ত্রস্থ হয়ে মেছের আলী দুলাল মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা দুলাল মিয়ার ঈদের নামাজ, কুরবানী নিষিদ্ধ করে। দীর্ঘ পাঁচবারের তদন্তে সকল প্রতিবেদনে মেছের আলীর দাবী ও অভিযোগের সত্যতা মিলে, ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার তিনটি প্রতিবেদন ও তিনটি মামলায় আদালতের আদেশ মেছের আলীর পক্ষে দেয়। থানার দুটি তদন্তে আপোস মীমাংসার অজুহাতে আসামীরা ষড়যন্ত্র করছে বলে জানাযায়। মেছের আলীর দায়েরকৃত সিআর ১৬৫/২১ নং চুরি, চাদা দাবির মামলায় আসামীরা ২০ ও ২১ ডিসেম্বর, জামিন পায়। অপরদিকে ভূমি বিষয়ে মেছের আলীর দায়েরকৃত ১৪৪ ধারা ও ঘোষণামূলক মামলায় এবং রতন বিশ্বাসের দায়েরকৃত হয়রানীমূলক হুমকির মামলায় আসামীরা নিয়মিত সময়ের আবেদন করে। পরে গত ১১ ডিসেম্বর নিজ জমিতে কাজ করাকালীন সময়ে সন্ত্রাসী হামলা হলে মেছের আলীর ছোট ছেলে সুকুর আলী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, ঐ দিন মেছের আলী মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেন। চক্রটি মিথ্যাচার করে হয়রানী করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে মেছের আলী নিরুপায় হয়ে এসব অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকের বরাবর দুটি আবেদন করেন। এ বিষয়ে সন্ত্রাসীদের মিথ্যাচার ও অপকর্মের বিরুদ্ধে ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ মো. দুলাল মিয়া, সংবাদ সম্মেলনের খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত, প্রচারিত হলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ করে পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবে বলে জানাযায়। বন্ধ মুদি দোকানের ভাড়া ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করেও নিরুপায় হয়ে সিংজুরী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভূমিতে মেছের আলী দোকান চালু করা হয়, গত ৩ জানুয়ারী রাতে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানের সামগ্রী ভাংচুর করে। ৫ জানুয়ারী র্যাব, মহাপরিচালকের কাছে মেছের আলী আবেদন করেন। অভিযুক্ত নাজিম মেম্বার তদন্তে বলেন, চুরির মাল রতন ফেরত দিলেও, ২৭ বছর ধরে মেছের ভোগ দখল করে আসছে তার খেসারত মেছেরকে রতন বরাবর দিতে হবে। তদন্তে নুরুল ইসলাম প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নাজিম মেম্বার, দুলাল সিকদার, গৌড় সরকার, শদু মিয়া বলেন, উনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, ছেলে সচিব। মেছেরের দলিল নাই মর্মে আসামীরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম তদন্তে মামলা সম্পর্কে বলেন, এসব বুদ্ধিদাতা কৃষিবিদ, নাম দুলাল। রতন নিরীহ সংখ্যালঘু আর মেছের আলীর বাটাম বড় বলে, জোরপূর্বক রতনের জমি মেছের ভোগদখল করছে। রতনের হুমকির মামলা সম্পর্কে বলেন, তার সহিত মেছের, দুলাল যোগাযোগ করে নাই বিধায় এটা করেছে, রতন বিশ্বাস মামলা করে নাই মর্মে তদন্তে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।