নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে লৌহজং নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় কমপক্ষে ২০ গ্রামের লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার দুপুরে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে নদীতে ভেসে যায়।
জানা গেছে, মির্জাপুর সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষ গ্রীষ্মকালে নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এই সাঁকো পারাপার হতে সাধারণ মানুষের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে।
গত শনিবার লৌহজং নদীতে জোয়ারের পানি আসে। জোয়ারের পানির সাথে উজান থেকে প্রচুর পানা আসতে থাকে। জোয়ারের পানির স্রোত এবং পানার চাপে রবিবার দুপুরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে নদীতে ভেসে যায়। এদিকে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সদরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নদীর এপার এবং ওপারে শত শত পথচারী আটকা পড়েন।
অন্যদিকে সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অতিরিক্ত প্রায় চারগুন টাকা ভাড়া দিয়ে অটো রিক্সা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে উপজেলা চত্তর হয়ে পাহাড়পুর ব্রিজ ও কুতুব বাজার ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, প্রতিদিন দক্ষিন মির্জাপুরের শতশত মানুষ সদরে এই সাঁকো দিয়ে সদরে আসা যাওয়া করে থাকে। সাঁকো ভেঙে পড়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওই এলাকায় একটি ব্রিজ হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল খেয়াঘাটে একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও অজ্ঞাত কারণে বিজটি নির্মিত হচ্ছে না।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, জনগুরুত্বপুর্ন ওই এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করা সময়ের দাবি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।