বিশেষ প্রতিবেদনঃ আমরা উপলব্ধি করি মানুষের আবেগ অনুভূতি ও নানা সামাজিক জীবন যাত্রার উৎস মূল থেকে উৎসারিত ধর্ম চেতনার নানা দিক। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডে অন্যতম দিনগুলো হচ্ছে বাৎসরিক দুর্গোৎসব। পূজার মূল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা দেখতে পাই এর উপাদান মূলতঃ দু’টি উৎস থেকে উৎসারিত, একটি হলো ভয় অন্যটি হলো বিস্ময়। এ দু’টো উৎসের প্রকাশভঙ্গিরও চরিত্র আলাদা আলাদা। মানুষ যখন ভয়ে নত হয় তখন মনের যে স্বাভাবিক শক্তি তা থাকে না, অন্য একটি পরাশক্তির আনুকূল্য লাভে ব্যগ্র হয়। কিন্তু বিস্ময়ে যখন অভিভূত হয়, প্রাণ মন তখন অনুরাগের ছোঁয়ায় জাড়িত হয়। এদেশের বৈষ্ণব সমাজেও তাই আমরা পুজোর এ দু’টির প্রকাশ লক্ষ্য করি। সেখানে একপাশে তার ঐশ্বর্য্যরে দীপ্তিময় বিকাশ এবং অন্যপাশে অনুরাগ আবেগের ছড়া ছড়ি। ঐশ্বর্য সমৃদ্ধ যে ঈশ্বরের প্রকাশ তাকে মানব হৃদয় দূর থেকে শ্রদ্ধা ভক্তির সাথে জানায় প্রণাম, অভিষ্ট লাভের প্রত্যাশায়। আর প্রাণের চেয়ে প্রিয় যে ঈশ্বর তাঁর সাথে একাত্মতা বোধ করে নিজের মধ্যে ঘটায় ঈশ্বরের সান্নিধ্য। এই যে সান্নিধ্য, তার কতোনা আবেগময় প্রকাশ আমরা লক্ষ্য করি বৈষ্ণব ভক্ত, সাধু মহাজনদের মাঝে। যেন ঈশ্বরেরই নানা রাগে, নানা ছন্দে, নানা রূপে প্রকাশ ঘটে ভক্তের হৃদয়ে। পুজোর প্রাথমিক ইতিহাস অনুসন্ধান করলে এ দু’টোর মূলের দিকে তাকাতে হয়। আসলে সকল ভক্তি ও সমস্ত আরাধণার সুরটি প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের নিজের মধ্য থেকেই মাথা তুলেছিল। ঈশ্বর কবে কখন মানুষের মাঝে তাঁর ভক্তির প্লাবন বইয়ে দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে সহজ কোন উত্তর দেয়া খুবই মুশকিল। আসল কথা হচ্ছে, দেশে দেশে কালে কালে মানুষ নিজেই তার হৃদয়ে ঈশ্বর ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছিল। কবির ভাষায়, ‘আমি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তোমারে করেছি রচনা’। মানুষই তেমনি তার হৃদয়ের সমস্ত মাধুরী তিল তিল মিশিয়ে তৈরি করেছেন তার গৃহের আঙ্গিনায় ঈশ্বর। কল্পনায় যে ভাবে পেতে চাইছেন একজন মানুষ তাঁর ঈশ্বরকে ঠিক তেমনি করেই দেশে দেশে যুগে যুগে গড়া হয়েছে তাঁর প্রতিমা কিংবা তৈরী হয়েছে নানা আচার অনুষ্ঠান।
মানুষের সমস্ত জীবনটাই নানা অভাব অভিযোগ, দুঃখ বেদনা ও অপূর্ণতায় ভরা। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া এই জগৎ সংসার অথচ প্রকৃতির হাতেই মানুষ সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিত ও নিপীড়িত। মানুষ সারা জীবন ব্যাপী প্রকৃতির বিরুদ্ধতার সাথে লড়াই করে জয়ী হতে চেয়েছে। প্রকৃতিতে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে আপন কর্তৃত্ব। এতো যে জ্ঞান বিজ্ঞানের ছড়া ছড়ি, বিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কার তবুও মানুষ অসহায় প্রকৃতির কাছে, আজও মানুষ পুরোপুরি জয় করতে পারেনি প্রকৃতিকে, আজও হতে পারেনি স্বয়ংসম্পূর্ণ। জীবন যে কেমন করে পূর্ণতা পাবে সে বিষয়েও মানব কুল আজও অন্ধকারে পথ হাতরায়। খোঁজে অলৌকিক কোন শক্তির আনুকূল্য। এই অলৌকিক শক্তির আনুকূল্য লাভের যে ব্যগ্রতা সেই ব্যগ্রতা থেকেই ঈশ্বর ভজনার সূত্রপাত, পূজার শুরুটাও এ পথ ধরেই।
দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের প্রাচীনতম উৎসটি আছে মৎস্য পুরাণে। সেখানে দশভূজ ও দশ প্রহরণধারী হিসেবেই দেখানো হয়েছে। সেখানে মন্ত্রের শুরুতে অবশ্য লাবন্য বিভাময়ী বরবর্নিনী রূপে কীর্তিত হয়েছেন দেবীমাতৃরূপে। পুরাতত্ত্ব বিদগণের মতে শক্তি পূজা আসলে মাতৃ প্রধান সমাজের জীবন পরিকল্পনার ধর্মীয় প্রকাশ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে নানা জাতি, নানা সমাজের মানুষের মানবিক আকুলতা। দেবীর ঐশ্বর্য ও শক্তি যেমন শত্রু শক্তিকে পরাভূত করে তেমনি আবার প্রাচুর্য ও সম্পদ দানকারী, বরাভয় প্রদানকারী হিসেবেও তিনি প্রভাময়ী। শক্তি সাধনার এই মৌল বিষয়টি আসলে আর্যপূর্ব জীবনের ঐতিহ্য বহন করছে। পরবর্তী কালে আর্য সমাজ তাতে সাংখ্যের পুরুষ প্রকৃতি ধারণা সংযুক্ত করে তাদের আর্যীকরণ সমাপ্ত করেছে। পৌরাণিক দুর্গাপূজার উদ্ভবও ঐ একই সূত্রে। বাংলাদেশে ঐ ঐতিহ্যই ক্রমে ক্রমে বিকশিত হয়েছে সমাজ মানসের নানা ধাপে ধাপে।
প্রাচীন শাস্ত্র প্রমাণাদি থেকে অবগত হওয়া যায় যে, দুর্গাপূজার মোক্ষমকাল ছিল বসন্ত কাল। সুরথ রাজা বসন্তে দুর্গোৎসব পালন করেছিলেন। বসন্ত কাল হচ্ছে নব যৌবনের বিকাশ কাল। আসলে মর্দিনী নয়, বিমর্দিনী শক্তির প্রকাশের প্রতি ছিল বাঙালি ভক্তের দুর্বলতা, আর সেই রূপই বর্তমানে বাঙালি সমাজে মহিমায় ভাস্বর। পরবর্তীতে আমরা লক্ষ্য করি মার্কন্ডেয় পুরাণে শরৎ কালে দেবীর জাগরণ। আজকে দুর্গাপূজা যে দু’টো জাতির মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে সে দু’টো জাতি অর্থাৎ বাঙালি ও নেপালি উভয় জনগোষ্ঠিতেই শরৎ কালই উপযুক্ত সময় হিসেবে গ্রহণ করেছে দেবী বোধনের ক্ষেত্রে। কিন্তু এ দু’টো জনগোষ্ঠিতে অকাল বোধনের মূল তাৎপর্য দু’রকমের। শরতে দুর্গাপূজা গৌণ কাল হলেও ঐ সময়টাই অরি নাশনের উপযুক্ত সময় বলে চিহ্নিত হতো অনেক পূর্ব থেকেই, বিশেষ করে নেপালি জনগোষ্ঠিতে। স্বভাবতই নেপালিরা ঐ সময়টাকেই শত্রু নিধনের উপযুক্ত সময় বলে চিহ্নিত করে এই অকাল বোধনে ব্রতী হওয়ার চিন্তা করেছে।
দুর্গা বিষয়ে বাঙালির ভাবনা সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় অগ্রসর হয়েছে। দেবীর মধ্যে তারা সর্বত্রই মাতৃরূপ দর্শন করেছে দু’একটি ব্যতিক্রম বাদে। শুধু স্নেহদাত্রী বরদায়িনী মাতাই নয়, কন্যা হিসেবেও তিনি স্বীকৃত বাঙালি রমনীকুলে। আদিকাল থেকে বাঙালির যে পরিবার নির্ভর জীবন, স্নেহ মায়া মমতার আঁধার এই পরিবার এ বিষয় বাঙালির চেয়ে আর কারা অনুধারণ করে? এক কথায় ঘরমুখো বাঙালি অথবা ঘরকুনো। এ দুর্নাম বহু পুরণো। আবেগাশ্রিত বাঙালি তার পরিবার মাতা পিতা কন্যা পুত্র সব একত্র করে একটি মধুর জগৎ সৃষ্টি করে চার পাশে। কতো হাসি, কতো কান্না, বেদনার ও আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন। তাই বাঙালি দেবীকে একক ভাবে নয় পুরো পরিবার সহ চায়। অসুর দলনকারী দেবী যেন তার পরিবার সহ লড়ছে এই অশুভ শক্তির সাথে। সংঘাত, ভাংগন এ সব ব্যাপারে তাঁর পরিবার কিছুই জানবে না এতোটা নিষ্ঠুর বাঙালি হৃদয় নয়। স্বাভাবিক জীবনাচরণের মধ্যে সর্ব ধ্যানের প্রকাশ ঘটানোর এই যে আকুলতা এটাই বাঙালি সমাজকে অন্য জাতিগোষ্ঠি থেকে পৃথক করেছে। মাতৃভাবনা বাঙালি সমাজের কতো পুরণো ব্যাপার এ সম্পর্কে সঠিক হিসেব দেয়ার কোন উপায় নেই। বাঙালি মাতার স্নেহময়ী করুণাময়ী রূপের সাথে এসে মিশেছে আবহমান বাংলার কন্যার হৃদয়ের বেদনা, পতিগৃহের নানা খুটি নাটি। ‘উমা’ রূপে তাই বার বার দেবীকে ফিরতে দেখি বাঙালি মাতাগণের গৃহের আঙ্গিনায়।
দুর্গাপূজার প্রাচীন ব্যবহারিক দিকটির সন্ধান এসেছে পুরাণ থেকেই, বিশেষ করে উপপুরাণসমূহ বহন করছে দেবীর পরিচয়। প-িতগণের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, যে সব উপপুরাণসমূহে দেবীর এই রূপ আমরা দর্শন করি সে সব উপপুরাণসমূহ বৃহত্তর বঙ্গের মাটিতে রচিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটি প্রমাণ দাঁড় করানো যেতে পারে, তা হলো দেবীর পূজায় যে সব পুষ্প লতাপাতা ও বৃক্ষ পত্র (বিল্বপত্র) জোগাড় করতে হয় সেগুলো বাংলার মাটিতেই জন্ম এবং সূলভ। ভারত বর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের সাথে এ সব পুষ্প লতাপাতা ও বৃক্ষ পত্রগুলোর সাথে কোন পরিচয় নেই। এ ছাড়া কৃষিজ ফসলের মাঝে আমরা দেখি ধান, সরিষা, তিল এসব জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন হয় পুজোতে। এসব তো বাংলা অঞ্চলের অতি পরিচিত ফসল। দক্ষিণ ভারতে এসব ফসলের অস্তিত্ব খুব কম।
বাঙালি সমাজে দুর্গাপূজা সম্পর্কে একটি কথা খুবই প্রচলিত যে, দুর্গাপূজা আসলে রাজসিক পূজা। এর উত্তর এখন আর সহজে মেলে না কারণ রাজসিক নেই বিষয়টি আর। সাধারণ বাঙালি গৃহের আঙ্গিনায়, উল্লাসে ভরপুর বারোয়ারী মন্দিরে দেবীর ঠাঁই। অথচ উপপুরাণ সমূহে দেখা যায় দেবীর রাজসিক ভাবের দীপ্তিময় প্রভা। আমরা জানি, পুরাণ বেদ পরবর্তী হিন্দু সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করেছে, তাহলে কি আদিম জনগোষ্ঠিকেও সম্পৃক্ত করেছে শাসকগোষ্ঠি উচ্চ বিত্ত শ্রেণি, রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক প্রয়োজনে। এ ভাবেই অগ্রসর হয়েছেন মাতা দুর্গা, তিনি একক ভাবে নয় বাঙালির সমস্ত বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আবহমান কাল থেকে।
বাংলাদেশে দুর্গোৎসব পরবর্তী ‘উমা’ আবাহন এবং ‘উমা’ বিদায়টির সাথে বাঙালি ভাবনার এক বিশাল অধ্যায় নিহিত। একমাত্র এখানেই আমরা বাঙালি পারিবারিক জীবনের আশা-আকাঙ্খার বিষয়টি সম্পূর্ণ উন্মোচিত হতে দেখি। আঠারো উনিশ শতকের বাংলার দুর্গোৎসবের দিকে তাকালে এর পরিচয় সহজে মেলে। প-িত সমাজ এখানে অবশ্য অন্য একটি দিকের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। তা হলো, বেবিলনীয় পাহাড়ী দেবী উম্মু বা উম্মার সাথে বাঙালির উমা’র কিছুটা সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন। পন্ডিতগণের ধারণা উভয়েই তো পর্বতবাসিনী। বাঙালির দেবীও তো পর্বত দুহিতা পার্বতী, পর্বত কন্যা পার্বতী, মহামায়ার নবরূপ দেবী পার্বতী, পর্বত রাজের কন্যা পার্বতী, তারকাশুর বধকারী স্কন্ধ জননী পার্বতী, গণপতি/গনেশ/সিদ্ধিদাতা/বিনায়ক জননী পার্বতী। নির্জন হিমালয় পর্বতের পার্বতী, অবশ্য দুটো দিক এখানে প্রকশিত এই দেবী প্রতিমার গঠনে। এক হলো পর্বত দুহিতা পার্বতী অন্য হলো মেনকা কন্যা উমা, একজন মহিষমর্দিনী অন্য জন বাঙালি ঘরের কন্যা। বাঙালির ভাবনায় দুর্গা মা থেকে কবে মেয়েতে রূপান্তরিত হলো সেই ইতিহাস খুঁজে পাওয়া ভার। একাধারে তিনি মা ও মেয়ে দু’টোই। অর্থাৎ যিনি মা তিনিই আমাদের কন্যা। কেমন করে যেন প্রীতিযুক্তা স্নেহময়ী ঈশ্বরী হলেন অসুর বিনাশী। নাশিনী হলেও আশ্চর্য গার্হস্থ্য কল্যাণী। ভয় এবং বিষ্ময়ের এ যেন এক হরগৌরি লীলা। দুর্গোৎসবের প্রথম সাহিত্যিক বিবরণ আমরা প্রত্যক্ষ করি বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতে। সেটা খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতকের কথা। চৈতন্যদেব যখন সারা ভারতে ভাবের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তখন দেখি একটি শ্লোকে বলা হচ্ছে, দুর্গাপূজায় যে সব খোল করতাল ব্যবহৃত হয়েছিলো সে সব নিয়ে এসো, আমরা আমাদের কীর্তনে তা ব্যবহার করি। এ বিষয়টি ইঙ্গিত দিচ্ছে আরেক গুরুত্বপূর্ণ দিকের। বৈষ্ণবীয় জোয়ারে সারা বঙ্গভূমি ভাসলেও দুর্গা প্রতিমা জেগে ছিল অগাধ সমূদ্র মাঝেও।
এবারে বাঙালির জীবনাচরণ ও গার্হস্থ্য জীবনের কাজের কথায় আসা যাক। পুরনো গতানুগতিক জীবন থেকে মুক্তির আকাঙ্খা কার না হৃদয়ে জাগ্রত হয়। কিছুটা সময় বাঁধা-ধরা জীবন থেকে মুক্তি। কিছুটা সময় আটপৌরে কাপড় ছেড়ে বর্ণাঢ্য পরিচ্ছদে সেজে থাকা, এসবই যেন একটু ক্ষণের জন্য পরিবর্তন। অসুর বিনাশী দেবীর যতোই দার্শনিক ব্যাখ্যা থাকুক না কেন, সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনের এই ক্ষণিক ছন্দ পতন। দুর্গার আগমনের সময়টা কখন বাঙালি জীবনে? বাঙালির প্রধান ফসল আমন লাগানো শেষ, ধান গাছ বড় হচ্ছে চোখের সামনে, বুঝতে পারা যায় সামনে আসছে সোনালী ধান, প্রাচুর্যের ইঙ্গিত। চাষীরা দিন গোনে কবে তার ধান আসবে আঙ্গিনায়, ভরে উঠবে গোলা। আউশ ধানে ঘর ভরপুর। এটা হলো বাংলার গৃহস্থ্যের শরৎ। একদিকে সম্ভাবনা অন্য দিকে ঠিক এরকম একটি সময়েই বাঙালি উমাকে নিয়ে আঁকেন গৃহের আঙ্গিনায়। আগামী প্রাচুর্যের এক আশাজনক ছবি শরতে যেমন পাওয়া যায় তেমন আর অন্য কোন ঋতুতে পাওয়া যায় না। সময়টা আসলেই মোক্ষম সময় এতে কোন দ্বিমত নেই। এমন কালে দেবীর বোধন না হলে আর হবে কখন? পুরাণ যাই বলুক। মোট কথা, প্রাত্যহিক জীবনের সুখ দুঃখ ও নিরানন্দ পরিবেশকে একটু আনন্দে ভরে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। পূজা অন্তত ক’দিনের জন্য হলেও আমাদের দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। পুজোর দিনগুলো তো অবশ্যই মধুর, আরো মধুর এর জন্য প্রতিক্ষার প্রহরগুলো। দুর্গা মানেই সেই দর্শন যা আমাদের ক্ষণিকের জন্য হলেও অন্য এক আনন্দলোকে পৌঁছে দেয়, পৃথিবীকে সাময়িক ভাবে স্বর্গের মতো বরণীয় করে তোলে।
টাঙ্গাইল রড ও রাজমিস্ত্রি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
টাঙ্গাইল জেলা রড ও রাজমিস্ত্রি শ্রমিক অফিসে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে সদ্য মৃত্যুবরণ করা সংগঠনের উপদেষ্টা মজনু মিয়ার দোয়া মাহফিলে খিচুরি দেয়া নেয়াকে কেন্দ্র...