টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ
তৃণমুলে খুব অল্প সময়ে জনিপ্রয়তা পাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি পদে নিলুফার ইয়াসমিন খান কে পূনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত করার দাবি উঠেছে। সরকার পতন আন্দোলনে সক্রিয় থাকা ও দলের নেতৃবৃন্দকে একই ছায়াতলে এনে ঐক্য বজায় রাখার কারনে সাধারন নেতা কর্মীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাই আগামী দিনগুলোতে নেতা কর্মীরা তাকে নেতৃত্বের সামনে দেখাতে চাচ্ছেন।
নিলুফার ইয়াসমিন খান আবারো টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের সভাপতি হলে জেলা মহিলাদলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে পারবেন বলে মনে করছেন টাঙ্গাইল মহিলাদলের তৃণমূলের নেত্রীবৃন্দরা। জন্মসূত্রে তার পরিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নিবেদিত প্রান।
সুত্র মতে, টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের কাউন্সিল অধিবেশন খুব শিগ্রই অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সময়ে অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠ ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দদের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন তিনি। আর তাই এবারও তিনি যেন মহিলা দলের সভাপতি হতে পারেন সে বিষয়ে সর্বত্র জোর দাবি উঠেছে।
বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে নিলুফার ইয়াসমিন খান সভাপতি থাকা কালিন মহিলাদলকে সুসংগঠতি করে রেখেছিলেন। টাঙ্গাইল জেলা মহিলা দলকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
টাঙ্গাইল জেলা একটি গ্রæরুত্ব পূর্ণ রাজনৈতিক জেলা। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারন করে মহিলাদলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি শুধু নিজের দল বা রাজনৈতিক পরিচয়ের মধ্যে আবদ্ধ নন। বিগত করোনা মাহমারিতে দারিদ্র ও অসহায়দের সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য টাঙ্গাইল বাসির কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন এই মহিলাদলের সাবেক সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন খান। তাই মহিলাদল ও জন সাধারণের কল্যানে তাকে আবারো টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের সভাপতি করা দরকার বলে মনে করছেন জেলাবাসী।
তিনি ২০১০ সালে জেলা মহিলাদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এরপর ২০১২ সালে তিনি প্রথমবার টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের সভাপতি পদ লাভ করেন, তারপর ২০১৭ সালে জেলা মহিলাদলের কমিটি জেলায় সর্বপ্রথম কাউন্সিলের মাধ্যমে পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র প্রতিটি নেতার সাথে সু-সম্পর্ক রেখে চলেছেন।
নিলুফার ইয়সমিন খান বলেন, টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের সভাপতি পদে আমাকে আবার পূণরায় কাজ করার সুযোগ দিলে দলের উপজেলা, থানা, শহর ও প্রতিটি ইউনিট আমি সুসংগঠিত করে গড়ে তুলবো। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নেত্রীবৃন্দদের নিয়ে মাঠে থাকবো। আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশে আমি ও আমাদের দলের নেত্রীবৃন্দদের সাথে নিয়ে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়বো। আমি টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। যারা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাদের পাশে থেকে দলের ও সাধারন মানুষের উন্নয়নে আজীবন কাজ করে যেতে চাই।