স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি দক্ষিণ)। এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে রংপুরের কোতোয়ালী উপজেলার কেল্লাবন্ধ এলাকার হলি ছাত্রাবাস থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু তাঁর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মেহেদী হাসান(২৫), দ্রোড়াকান্দর গ্রামের দীপক চন্দ্র রায়ের ছেলে হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন(১৯), বড়আম বাড়ী গ্রামের ওবায়দুল মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া(১৯), টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার শ্রীহরিপুর গ্রামের ছবুর উদ্দিনের ছেলে এসএম আয়াত(১৯), টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের জাফর আলীর ছেলে জিহাদ আলী(১৯) ও টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার কাকুয়ার কালিকৈটাল গ্রামের জুব্বর সিকদারের ছেলে আব্দুল্লাহ্(১৯)।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, গত ১৩ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল পদে (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গত ২০ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তিন জনের খাতায় প্রাপ্ত নম্বর অনেক বেশি পরীলক্ষিত হয়।
মৌখিক পরীক্ষায় বোর্ডের সদস্যরা লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওই তিন ছাত্রকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। লিখিত পরীক্ষায় যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন, ওই বিষয় নিয়েই মৌখিক পরীক্ষায় তাদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ঘটনায় বোর্ডের কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন- নিয়োগ পরীক্ষায় তারা জালিয়াতি করে প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন।
তিনি আরও জানান, ওই তিন ছাত্রকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় অন্য তিন জন তাদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রংপুরের কোতোয়ালী উপজেলার কেল্লাবন্ধ এলাকার হলি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার নকল প্রবেশপত্র, রাজস্বস্ট্যাম্প, ব্যাংকের স্বাক্ষরিত চেক, বিভিন্ন ছবি, কম্পিউটারের পিসি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি জব্দ করা হয়। সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।