মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকায় অসময়ে নদীভাঙন দেখা দিয়েছ, ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে,অপেক্ষায় আছে সেতু, মসজিদসহ নানা স্থাপনা। ভাঙনের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে নদীতীরবর্তী মানুষ,তবে ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করে কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
উপজেলার বংশাই ও লৌহজং নদীর পার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাইসমিল ও মসজিদসহ জনপথ, অসময়ে নদীর পার ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ্ব মোঃ একাব্বর হোসেন সেতু। ইতিমধ্যে মির্জাপুর পৌর এলাকার ২নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়া ও চার নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া (সওদাগড়পাড়া) এবং বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়ার প্রায় অর্ধশত বাড়ি, শতাধিক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ভাঙ্গনের ঝুকিতে পড়েছে পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া (সওদাগড়পাড়া) গ্রামের মসজি দুটো,পানি আরো নেমে গেলে এই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে,এদিকে নদীর পর এমন ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেও কোনো ফল পায়নি স্থানীয়রা।
পুষ্টকামুরী গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, তিনি তার জীবনের উপার্জন দিয়ে একটি একতলা ভবন করেছিলেন,লৌহজং নদীর অসমেয়র ভাঙনে ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে।
নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া ওই পাড়ার বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করছে, কিন্তু তার বাড়িটি আস্তে আস্তে নদীতে বিলীন হয়ে গেলো। ঘরবাড়িসহ তার প্রায় কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে চলে গেছে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মালেক বলেন, ওই এলাকার নদীভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে,তারা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সেতুটি যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হবে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙনের খবর জেনেছেন। বরাদ্দ না থাকায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। আগামী রবিবার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় এমপি সাহেবের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।