মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার চ্যানেল এস প্রতিনিধি গণমাধ্যমকর্মী আব্বাস আলীকে হত্যার হুমকি প্রদানকারী ১নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার’সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চরহামজানী গ্রামে এ মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ ও ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন কারণে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। কালিহাতী উপজেলার চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্বাস আলী বলেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে তার দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। চরহামজানি এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেয়ার নামে তপন পাল এর মাধ্যমে ওই চেয়ারম্যান ও দালালচক্র মিলে এলাকায় অসহায় মানুষের কাছ থেকে, তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠে। গণমাধ্যমকর্মী আব্বাস আলী বলেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২ সেপ্টেম্বর আমি সাংবাদিক মাসুম কে সঙ্গে নিয়ে, ওই দালাল চক্রের প্রধান তপন পাল ও আরিফকে জিজ্ঞেস করলে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভয় ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে সেখান থেকে চলে আসি। পরবর্তী সময়ে আমার বৃদ্ধ বাবা স্থানীয় পটল বাজারে গেলে, সেখানে সকলের সামনে, চেয়ারম্যান আনোয়ার প্রকাশ্যেই আমাকে সহ পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনার পর চেয়ারম্যান আনোয়ারের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি সহ অন্যান্য সংবাদ কর্মীদের জানানো হয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ওই আনোয়ার চেয়ারম্যান এলাকায় আরও যাদের উপর জুলুম অত্যাচার করেছে তারাও এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা ওই চেয়ারম্যানের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী সহ অন্যান্য নারী পুরুষগণ। তারা বলেন, আনোয়ার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিগত দিনের অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে, যাহা বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত আকারে দায়ের করেন, ওই দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। ইউসুফ আলী নামের একজন ভ্যান- রিক্সা-সাইকেল মিস্ত্রি বলেন, আনোয়ার চেয়ারম্যান তার ভাই আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার মাধ্যমে আমার দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ৩০০০ টাকা নেয়। এক বছরের পার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় ওই টাকা ফেরত চাইলে, টাকা না দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার লোকজন দিয়ে মারপিট করে দোকান থেকে বের করে দেয়। আরেকজন ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার মিয়া (৬৫) পেশায় একজন টিউবওয়েল মিস্ত্রি ও মনোহারী দোকানদার। তিনি বলেন, তার ছোট ভাই পটল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছিল। চেয়ারম্যানের ভাইও একই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিল, তাই চেয়ারম্যান তার পালিত লোক দিয়ে, ষড়যন্ত্র করে ১০০০ টাকার জাল নোট দিয়ে ওই মুদির দোকানদারকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আইয়ুব (৭০) নামের আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, চেয়ারম্যানের ভাতিজার সাথে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে, চেয়ারম্যান আনোয়ার আমার ছেলের বিরুদ্ধে, মোবাইলের চুরির অভিযোগ এনে সালিশি বৈঠকে আমার ছেলেকে ব্যাপক মারপিট করে ৪০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনেক কষ্টের টাকা গুলো দিয়েছি। আরেক ভুক্তভোগী বেলাল হোসেন, পিতা ইব্রাহিম তিনি চা বিক্রেতা। তিনি বলেন গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে দুর্গাপুর ইউনিয়নের আনোয়ার চেয়ারম্যানকে চা দিতে দেরি হওয়ার অপরাধে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি- চড়-থাপ্পড়- মেরে তাকে আহত করে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। এ বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন।
টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী উজ্জ্বল হোসেন ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উজ্জ্বল হোসেনকে সাত বছরে কারাদণ্ড এবং সেলিনা আক্তারকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড...