বাংলাদেশে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামীর আমীর আহমদ শফীর ত্রিশ বছরেরও বেশি সময়ের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জ এসেছে তারই অনুসারী জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষ থেকে।
আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী অভিযোগ করেছেন, গত দু’দিনে মি: বাবুনগরীর সমর্থক ছাত্ররা এবং কিছু বহিরাগত বিক্ষোভ করে মাদ্রাসাটির দখল নিয়েছিল।
মি: বাবুনগরীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে বিক্ষোভকারীরা মি: শফীকে মাদ্রাসার প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া সহ ছয় দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিলি করেছিল।
বিক্ষোভ থেকে মি: শফী এবং তার সমর্থক শিক্ষকদের কক্ষে ভাঙচুর এবং একজনকে মারধোরের ঘটনাও ঘটে।
বিক্ষোভের মুখে মি: শফীকে হাজির করে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির বৈঠক করা হয় এবং সেই বৈঠকের পর আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতিও দেয়ার কথা জানানো হয়।
বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে বহিষ্কারসহ ছয়টি দাবিতে মাদ্রাসাটির ছাত্ররা বিক্ষোভ করে আসছে।
তাদের আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে পরে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শুরা কমিটি।
শেষপর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ২৪শে অগাস্ট কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়া হয়েছিল মূলত কয়েকটি শর্তে- এর মধ্যে দুটি হল, কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা এবং পরীক্ষা গ্রহণ করা।
কিন্তু চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম আরোপিত শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করেনি বলে মাদ্রাসাটি পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। মাদ্রাসাটি ‘হাটহাজারী মাদ্রাসা’ নামে পরিচিত।
সংবাদসুত্রঃ বিবিসি বাংলা অন লাইন [১৮.০৯.২০২০]