সখীপুর সংবাদদাতাঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে অজ্ঞাত রোগের যন্ত্রণা নিয়ে জীবন পার করছেন বিল্লাল হোসেন (৬০) নামের এক বর্গা চাষি। সম্প্রতি তার ছেলে মাসুদ রানাও (১৫) একই রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের বাড়ি উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। বাবা বিল্লাল হোসেনের এ বয়সে আর সুস্থ্য জীবনের আশা নেই। কিন্তু ছেলে মাসুদ রানার জীবনের কেবল শুরু! তাই বৃদ্ধ বিল্লাল হোসেন নিজের জন্যে নয়; ছেলের চিকিৎসার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ওই আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিল্লাল হোসেনের বৃদ্ধ মা সুরুতজান বেগম (৮০) এখনো বেঁচে আছেন। তিনি জানান, জন্মকালে বিল্লালের চোখের ভ্রুর ওপরে একটু ফোলা কালো জনম দাগ দেখা দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে ওই রোগও বাড়তে থাকে। এখন টিউমারের মত হয়ে ডান চোখের ভ্রু থেকে মুখম-ল ও গালজুড়ে পুরো অংশ ছেপে গেছে। তাঁর ছেলে মাসুদ রানাও (১৫) একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ছেলে মাসুদ রানা জানায়, আমাকে দেখে সহপাঠীরা ভয় পায়। কেউ আমার সঙ্গে বসে না, খেলায় নেয়না। এ কারণে আমার আর স্কুলে যেতে ভাল লাগেনি। তিন বছর ধরে আমার পড়াশোনা বন্ধ।
বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি যে অবহেলা ও যন্ত্রণা নিয়ে চলছি, আমার ছেলে যেনো এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। তিনি ছেলের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, মনে হয় রোগটির নাম নিউরো ফাইব্লুমা। নিউরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখালে তাঁরা বিস্তারিত বলতে পারবেন।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিল্লাল হোসেনের আবেদনের কপি বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বারাকা সামাজিক সংগঠন
আলোকিত বাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় দরিদ্র ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বারাকা সামাজিক সংগঠন। শনিবার (৪জানুয়ারি) বিকালে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়া,মির্জা...