ভুঞাপুর প্রতিনিধি : যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর অংশে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী থেকে ভালকুটিয়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন।
এতে প্রায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ৪টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। এছাড়া ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে নদী ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবগত করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এখনো এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছরে শত শত একর ফসলি জমি ও বসতভিটা চলে গেছে নদী গর্ভে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে গোবিন্দাসী বাজার, ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, মসজিদ ও ১টি মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
কষ্টাপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ভাবেই বসতভিটা রক্ষা করতে পারলাম না। বিগত দিনে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বাংলা ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারনেই এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। খানুরবাড়ী গ্রামের মো. রশিদ মাস্টার বলেন, গত কয়েক বছর পূর্বে আমার বাড়ী ও লেয়ার ফার্ম এ নদী গর্ভে চলে গেছে। এজন্য সরকারের কাছে আবেদন অতি শীঘ্রই খানুরবাড়ী থেকে চিতুলিয়াপাড়া পর্যন্ত বেরী বাঁধ চাই।
ভূক্তভোগী খানুরবাড়ী গ্রামের ইমান আলী বলেন, দীর্ঘদিনের বসতভিটা এ যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। আমি গরীব মানুষ, আমার পরিবার নিয়ে এখন কোথায় যাব ? অন্যত্র বাড়ী করার মতো সামর্থ্যও আমার নেই।
এদিকে গত শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুল হালিম এড্ভোকেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ সহ অন্যান্যরা।
কিন্তু এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে এ ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে এখনো দেখা যায়নি।