মির্জাপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শেখ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ ঢাকা জেলার সভাপতি দাবি করে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি বাজারের তিনটি দোকান ঘর ভেঙ্গে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ ঢাকা জেলার সভাপতি পরিচয়ে সাফায়েত হোসেন শেখের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল টাকিয়া কদমা বাজারে সন্ত্রাসী কায়দায় এই জমি দখলের চেষ্টা করে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে টাকিয়া কদমা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. রফিক মিয়া মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, মির্জাপুর উপজেলার টাকিয়া কদমা গ্রামের মরহুম রমজান আলীর ছেলে রফিক মিয়া টাকিয়া কদমা মৌজার ১৮১ নং খতিয়ানের ১০৭৩ দাগের ২৭ শতাংশ জমি ক্রয়সুত্রে মালিক হয়ে দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে দোকান ঘর তুলে ভোগদখল করে আসছেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে শেখ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ ঢাকা জেলার সভাপতি পরিচয়ে সাফায়েত হোসেন শেখের নেতৃত্বে বকুল মিয়া, আবুল হোসেন ও মনিরসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কদমা বাজারে রফিকের দোকানঘর ভাংচুরের পর সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় রফিকের স্ত্রী ও মেয়ে বাধা দিতে গেলে তাদের মারপিট করে এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেয় তারা। রফিকের স্ত্রী মমতাজ ও মেয়ে রহিমা অভিযোগ করে বলেন, দোকানঘর ভাংচুরের সময় হামালাকারীদের মধ্যে সাফায়েত হোসেন শেখ নিজেকে শেখ পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই দাবি করে বলেন, তোদের মতো লোক গুলি করে মারলেও আমার কিছইু হবে না। পুলিশের কাছে গেলেও তার কিছু করতে পারবে না বলে সাফায়েত শেখ রফিকের স্ত্রী ও মেয়েকে হুমকি দিয়েছে বলেও তারা জানান।
সরেজমিনে টাকিয়া কদমা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দোকানঘর ভাংচুর করে ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া নাজমুল হোসেন নামে জনৈক এক ব্যক্তির নামে ৭২ শতাংশ জমি বায়না সূত্রে মালিক লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। টাকিয়া কদমা গ্রামের বাসিন্দা এলাকার মাতাব্বর সোহবার মিয়া, নজরুল দেওয়ান জানান, দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ওই বাজারে রফিক দোকানঘর তুলে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্ত সেদিন বহিরাগত লোকজন অস্ত্রশস্ত্রো নিয়ে বাজারের মধ্যে যেভাবে ভাংচুর চালিয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে গেছে তারপর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তারা জানিয়েছেন। দোকান ভাড়াটিয়া আইন উদ্দিন দেওয়ান ও মান্নান সিকদার জানান, ওই দিন হঠাৎ করে স্থানীয় বকুল মিয়া (এক সময়ে এলাকায় বকুল ডাকাত নামে পরিচিত) ৩০/৩৫ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে তাদের দোকান ঘর ভাংচুর করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। নিষেধ করলে তারা তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানান।
মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, যেখানে বাঙালি জাতীর মুক্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবন উৎসর্গ গেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেই পরিবারের কেউ গরীব দুঃখী মানুষের জমি দখল করবে এটা আমাদের বিশ্বাস হয়। নিশ্চই ওই ব্যক্তি শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. সাফায়েত হোসেন শেখের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিচয়ে নয় তারা তাদের বায়নাকৃত জমিতেই সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। তবে তিনি নিজেকে গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ ঢাকা জেলার সভাপতি দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুল হক দোকানঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের নান্দুরিয়া চকবাজারে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১মার্চ) দেলদুয়ারের আটিয়া নান্দুরিয়া চকবাজার আঞ্চলিক বিএনপি...