নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রয়াত মেয়র মো. সাহাদত হোসেন সুমনের সহধর্মীনি সালমা আক্তার শিমুল বেসরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার(২২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও মির্জাপুর পৌরসভার উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এ এইচ এম কামরুল হাসান প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনের স্ত্রী সালমা আক্তার শিমুলকে বেসরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষনা করে চুড়ান্ত চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুন জানান, গত ১১ ফেব্র“য়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মির্জাপুর পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র মো. সাহাদত হোসেন সুমন মারা যাওয়ায় মেয়র পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর চন্দনা দে। দেশে মহামারী করোনা এবং চলমান বন্যার কারনে উপ নির্বাচন দিতে বিলম্ব হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মেয়র পদে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন। উপ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী থাকলেও গত ৮ সেপ্টম্বর আওয়ামীলীগের জরুরী সভায় প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ৭ প্রার্থী মেয়র পদে উপ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ১২ সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগের দলীয় সভানেত্রী ও মানীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত মেয়র মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনের স্ত্রী সালমা আক্তার শিমুলকে দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্ধ দেন। ১৩ সেপ্টেম্বর উৎসব মুখর পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সালমা আক্তার শিমুল রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোয়নপত্র দাখিল করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর মনোয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে সালমার মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। উপ নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা না দেওয়ায় আজ মঙ্গলবার একক প্রার্থী সালমা আক্তারি শমুলকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বেসরকারী ভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষনা করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রয়াত মেয়র সাহাদত হোসেন সুমনের স্ত্রী সালমা আক্তার শিমুল বলেন, আমার স্বামী ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী। নিজের ও পরিবারের কথা তিনি কখনো ভাবেনি। ভেবেছেন শুধু দলের জন্য। স্বামীর আদর্শকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র নির্বাচিত করে যে সম্মান দেখিয়েছেন জীবন দিয়ে হলেও তাদের সম্মান রেখে কাজ করবো। সকলের সহযোগিতায় মির্জাপুর পৌরসভাকে একটি আদর্শ ও মডেল পৌরসভা হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো।