নাগরপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর বাজারের অভ্যন্তরীন সড়ক বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় জন দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বটতলা থেকে তালতলা পর্যন্ত প্রায় ১ কি.মি. সড়কটি এখন সম্পুর্ন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে হাটু পানি জমে যায়। রাস্তায় পানি আর কাদা জমে দূর্গন্ধ ছড়ায়। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। অথচ সদর বাজারের এ রাস্তাটি নাগরপুর বাজারের প্রাণ কেন্দ্র । এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শতশত ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। রাস্তাটি বাজারের প্রধান রাস্তা হওয়ায় পণ্য পরিবহন, হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়াসহ প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারীকে চলাচল করতে হয়। এদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় একটু বৃষ্টিতেই সড়কে হাটু পানি জমে। দেখে মনেই হয়না এটি সড়ক না সরু খাল। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত অবর্ননীয় দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেয়ার যেন ফুসরত পাচ্ছেন না। যদুনাথ সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কাবেরী বলেন, এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা উচিত।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো.শাহিনুর আলম বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে এলজিইডির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধীনে বিধায় আমি এ রাস্তা সম্পর্কে জ্ঞাত নই ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিমুল ইহসান বলেন, সংক্ষিপ্ত সময়ে ড্রেনেজ করা সম্ভব না। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হবে। এ রাস্তাটি বড় আকারে করার জন্য প্রস্তাব আছে তবে সময় লাগবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, নাগরপুর সদর বাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ইতোমধ্যে গ্রহন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভ্যন্তরীন সড়ক সহ বাজার সংশ্লিষ্ট সড়ক গুলো পাকা করা হবে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য সদর বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু।
টাঙ্গাইলে হাত বদলে বেড়েছে দ্বিগুণ অবৈধ বালুঘাট-এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : যমুনার তীর ঘেঁষে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালুঘাট। স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রীয়তা ও নগদ টাকার প্রলোভনে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়...