নিজস্ব সংবাদদাতা: নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে তা বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে দখলদাররা জনগণ কর্তৃক চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে গণ্য হয়।মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নদী দূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে ৪৮ নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য ভান্ডার তৈরী ও গবেষণা প্রকল্প ( ১পর্ব) এর জেলা পর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের আয়োজনে ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নদী সমীক্ষা প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচীব ইকরামুল হক। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, সিএস এর আলোকে নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে হবে। সিএস অনুযায়ী নদীর দুই পাড়ের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা থাকবে না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন ও নদী রক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদন পেশ করেন। নদী রক্ষা কমিটির মহাসচীব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তারী কাদেরী এর চৌকস সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নদী সমীক্ষা প্রকল্প পরিচালক এবিএম সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোশারফ হোসেন খান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনসারী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাদিকুর রহমান সরদার, মো. মনির হোসেন চৌধুরী, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। নদী রক্ষা আন্দোলন টাঙ্গাইল এর সভাপতি প্রিন্সিপাল খন্দকার এনামুল করিম শহীদ ধ্বলেশ^রী, পুংলি ও লৌহজং নদী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রতন সিদ্দিকী বলেন, বেদখলকারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। সমাজের সকল উচু স্তরে তাদের বিচরণ। নদী-খাল রক্ষায় তাদেরকে সাথে রাখা যাবে না। নিজেদের মধ্যে কোন্দল বাধিয়ে ফায়দা নেবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এর দুই পাড়ের দখলদারদের স্থাপনা যেভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে ঠিক একইভাবে টাঙ্গাইলের সকল নদী-খালের দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নদী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য রাখেন ‘বেলা’ টাঙ্গাইল এর নির্বাহী মীর জালাল আহমেদ উজ্জ্বল, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহাম্মেদ, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি টাঙ্গাইল এর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সচীব শাহনেওয়াজ পারভীন, টাঙ্গাইলের এলজিইডি এর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী, সেটেলমেন্ট, ভূমি কর্মকর্তা, পরিবেশ কর্মকর্তা, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, এনজিও প্রধান, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত থেকে টাঙ্গাইলের পুংলি, ধলেশ্বরী, লৌহজং সহ অন্যান্য নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণীয় বিষয়ক পরামর্শমূলক এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক মতামত প্রকাশ করেন।
টাঙ্গাইলে হাত বদলে বেড়েছে দ্বিগুণ অবৈধ বালুঘাট-এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : যমুনার তীর ঘেঁষে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালুঘাট। স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রীয়তা ও নগদ টাকার প্রলোভনে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়...