নিউজ ডেস্কঃ দুর্বৃত্তদের ডেরা থেকে গোপনে পালিয়ে বাড়ী ফিরে এসেছে টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের শামীম মিঞার মেয়ে শান্তা খানম (১৫)। নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধায় শান্তা বাড়ী ফিরে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার বাবা শামীম মিঞা।শান্তা স্থানীয় নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
শান্তার বাবা শামীম মিঞা জানান, শান্তা বর্তমানে মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ, বাড়ী ফেরার পর থেকে সে ঘুমাচ্ছে। শান্তা একটি প্রতারক চক্রর খপ্পরে পরেছিল বলে জানিয়েছে। তাকে এতোদিন কোথায় আটকে রাখা হয়েছিল সে বিষয়ে শান্তা কিছু বলতে পারছে না। সে বলছে, একটা ঘরে তাকে সহ আরও ১০/১২ জনকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছিলো। তাদের নেশাদ্রব্য মিশ্রিত খাবার দেওয়া হতো, ফলশ্রুতিতে সে সময় তারা অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাতো এবং তখনকার কোন কিছুই সে মনে করতে পারছে না।
জানা যায়, গত ১৪ জুন শুক্রবার বেলা ১১টায় সে ফুপুর বাড়ী জামুরিয়ায় পাঠ্য বই আনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আত্মীয় বাড়ি সহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান মেলেনি। এই ব্যাপারে শান্তার বাবা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করেন। এছাড়া কাজী পাড়ার গৃহিনী মোছাঃ রুনিয়া বেগম জানিয়েছিলেন, তিনি ওই দিন বেলা ১২টার দিকে শান্তাকে ঘাটাইল বাসস্ট্যন্ডে এক বোরকা পড়া মহিলার সাথে একটি মোবাইলের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছেন, তারপর থেকে আর শান্তার দেখা মেলেনি।
শামীম মিঞা আরো জানান, শান্তা বলেছে, সে সহ টাঙ্গাইলের আরেকটি মেয়ে প্রাকৃতিক কাজে যাওয়ার উছিলায় কোনরকমে দুর্বৃত্তদের ডেরা থেকে পালিয়ে কৌশলে বের হয়ে টাঙ্গাইলে আসার আসার একটি গাড়িতে উঠে। তারপর অপর মেয়েটি টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে এসে নামে এবং সে অন্য একটি গাড়িতে করে টাঙ্গাইল থেকে ঘাটাইল আসে। পরে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডে নেমে সে কারও সহযোগিতায় কাজীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে পৌঁছে।
শান্তার বাবা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এ জন্যে আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। এ সময় তিনি পুলিশ, র্যাব সহ সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার মেয়ের মতো আরো কারও ভাগ্যে যেন এমন পরিণতি ভোগ করতে না হয়। শান্তা সুস্থ হলে আরও বিস্তারিত জানা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন শুক্রবার বেলা ১১টায় সে ফুপুর বাড়ী জামুরিয়ায় পাঠ্য বই আনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আত্মীয় বাড়ি সহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান মেলেনি। এই ব্যাপারে শান্তার বাবা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করেন। এছাড়া কাজী পাড়ার গৃহিনী মোছাঃ রুনিয়া বেগম জানিয়েছিলেন, তিনি ওই দিন বেলা ১২টার দিকে শান্তাকে ঘাটাইল বাসস্ট্যন্ডে এক বোরকা পড়া মহিলার সাথে একটি মোবাইলের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছেন, তারপর থেকে আর শান্তার দেখা মেলেনি।