স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও স্বপদে বহাল রয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমা ব্রিজের দায়িত্বরত প্রকৌশলী শিব্বির আহম্মেদ আজমী। বুধবার(১৬ এপ্রিল) লঘুদন্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সচিব মো:রেজাউল মাকসুদ জাহেদী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তিনি বহাল হন।
জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের নন্দিত বেড়াডোমা ব্রিজের দায়িত্ব পালনকালে নির্মাণাধীন অবস্থায় ঢালাই কাজের পূর্বে সেন্টারিং এ ড্রইং ও ডিজাইন অনুসারে না করে গাছের বল্লি ও বাঁশের খুঁটি ব্যবহারে ঠিকাদারকে শুধু চিঠির মাধ্যমে নিষেধ করেন। ঢালাই কাজ বন্ধ না করে এবং ঢালাইয়ের সময় উপস্থিত না থাকায় চরম দায়িত্বে অবহেলা করেন পৌর প্রকৌশলী শিব্বির আহম্মেদ আজমী। এ কারণে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৯৯২ সালের বিধি ৪০ এর উপ বিধি (ক) ও (খ) অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ওই প্রকৌশলীর নামে বিভাগীয় মামলা (নং-৪/২০২৩) হয়। পরে মামলাটি ২০২৩ সালের ১১ জুলাই শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে বিভাগীয় কর্মকর্তা টাঙ্গাইল পৌরসভার বরখাস্তকৃত ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর জবাব, বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা ক্রমে বর্ণিত দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পৌরসভার কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা ১৯৯২ এর বিধি ৪০ এর উপবিধি ক’ ও খ; অনুযায়ী দায়িত্ব অবহেলা এবং অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে পৌরসভার কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা ১৯৯২ এর বিধি ৪১ এর উপ বিধি (ই) অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য বেতন বর্ধন স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড প্রদান করেন এবং বরখাস্তকালীন সময় সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে বহাল রাখেন।
এদিকে, অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলীকে বহালের খবরে টাঙ্গাইল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রকৌশলী শিব্বর আহম্মেদ আজমী মুঠোফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় পৌর কর্মচারী আইন অনুযায়ী বিভাগীয় কর্মকর্তা বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করেছে। তিনি রবিবার ২০ এপ্রিল বেলা ১১ টায় যোগদান করবেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক মো. শিহাব রাহয়ান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌর প্রকৌশলীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। তবে অফিসিয়ালভাবে তিনি কোনো চিঠি বা কাগজপত্র পাননি।