আলোকিত বাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইল গোপালপুরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দু’দিনের ছুটিতে এসে ছিলো ঐ সেনা সদস্য। বাড়ীতে হামলা সহ, সেনা সদস্যকে আহত করে এবং তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে দুস্কৃতিকারীরা এমন অভিযোগ তার পরিবারের।
এতে ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুই দফায় জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াল ইউনিয়নের রাজ গোলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘনটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সুমি খাতুন, নাজিম উদ্দিন, সেনাবাহিনীর সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।
জানা যায়, মৃত শুকুর মাহমুদের দুই ছেলে সরকারিভাবে বন্দবস্ত জমি নেন। ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪৩ শতাংশ জমি নেন মৃত মজিবর রহমান তালুুকদার ও ১৯৭৭-৭৮ সালে ৪১ শতাংশ জমি সরকারিভাবে বন্ধবস্ত নেয় আবুল হোসেন তালুকদার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ খারিজ আছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য সরকারিভাবে কোন লীজ যাতে না দিতে পারে এরকম একটি রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে ওই পুকুর দখল করার চেষ্টা করে আপন ও রফিকুল ইসলাম এরশাদ সহ আরো অনেকে। গত শুক্রবার সকালে আবুল হোসেন তালুকদার ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তাকে বাঁধা প্রদান করে। এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আপন ও রফিকুল ইসলাম এরশাদরা শুক্রবার সকালে জোরপূর্বকভাবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার রুই,কাতলা,মৃগেল সিলভার সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিনাইয়া নিয়া হেমনগর মাছের আরদে নিয়ে যায় বিক্রি করার জন্য। পরে পুলিশের খবর দিলে তারা আংশিক মাছ উদ্ধার করে আবুল হোসেন তালুকদারদের কাছে ফেরত দেয়।
আহত সুমি খাতুন বলেন, আমার পেঁপে গাছ থেকে পেঁপে পেরে নিয়ে যাচ্ছি তখন আপন আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরে এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে পেঁপে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। পরে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। আমাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তদন্দ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আপন ও এরশাদরা মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। তারা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা মাছ ধরতে দিবে না। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। আপন ও এরশাদ সহ আরো অনেকে এস আমার বাড়িতে হামলা করে ও আমাদের লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় আমিসহ তিনজন আহত হই।
সাবেক সেনা সদস্য মো.নজরুল ইসলাম বলেন , আমার চাচা আবুল হোসেন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে দৃষ্কৃতকরীরা বাধা প্রদান করেন এবং চাদাঁ দাবি করেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিপন,সজীব,সবুজ,শিল্পী,বেলাল, আপন সুরুজ,রহিম বাদশাহ ও জীবন বাড়ীতে ভাংচুর করে । আমার ছোট ভাই আতিকুর রহমান সেনাবাহিনীতে চাকুরি করে। দু’দিনের জন্য ছুটিতে এসে ছিলো বাধা দিতে গেলে বাশঁদিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে তাকেও মারধর করে। মো.সুরুজ মিয়া বলেন , আমি বাড়ীতে ছিলাম না তাদের বাড়ীতে হামলা হয়েছে আমি শুনেছি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাপ মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হেমনগর ফাঁড়ি এসআই লুৎফরকে তদন্দকারী দেয়া হয়েছে। তদন্দ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।