বিশেষ প্রতিবেদনঃ টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের ১২টি বেইলি ব্রিজের সবগুলোই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এসব ব্রিজ দিয়ে শ’ শ’ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ এবং সড়কটি প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ) সূত্রে জানা যায়, ৫৫ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের ৩৫ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার টাঙ্গাইল জেলার অংশে এবং বাকি ২০কিলোমিটার মানিকগঞ্জ জেলায় পড়েছে। টাঙ্গাইল শহর থেকে সড়কটি শুরু হয়ে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিনে ধলেশ্বরী সেতু পাড় হয়েছে। পরে নাগরপুর উপজেলা সদর এবং মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলা সদর হয়ে বরাংগাইল নামকস্থানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিলিত হয়েছে।
দুই দশক আগে এ সড়ক নির্মাণের সময় টাঙ্গাইল অংশে ১২টি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। এগুলো হচ্ছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া, দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন, নাগরপুর উপজলোর খোরশেদ মার্কেট, ধলাপাড়া, থানা মোড়, বারাপুষা, ভালকুটিয়া, তিরছা, টেংরীপাড়া, আড়রাকুমার, ধুবুরিয়া ও চাষাভাদ্রা।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী সেতু চালু হওয়ার পর টাঙ্গাইল থেকে এই সড়ক দিয়ে আরিচা যেতে আর কোন ফেরি পারাপাড় হতে হয় না। সেজন্য ২০১৩ সালের পর থেকে যানবাহন চলাচল বহুগুণে বেড়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস এ সেতু হয়ে টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া প্রতিদিন কয়েকশ’ সিএনজি চালিত অটোরিকশা টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কে চলাচল করে থাকে। যানবাহন সংখ্যা বাড়লেও ১২টি বেইলি ব্রিজ সংস্কার বা স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। বরং বেইলি ব্রিজগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিটি সেতুর সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, সাবধানে পারাপাড়’ হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে রেখেছে। ফলে প্রতিদিন শ’ শ’ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিন জানা যায়, প্রতিটি বেইলি ব্রিজের স্টিলের পাটাতন ক্ষয় হয়ে গেছে, নাট-বল্টুগুলো কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। ফলে মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন প্রায়ই পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ব্রিজগুলোতে ভারি যানবাহন ওঠলেই কেঁপে ওঠে।
তিরছা গ্রামের জাফর আলী বলেন, ‘চলতি বছর জানুয়ারিতে বেইলি ব্রিজের পাটাতনে ট্রাক আটকে গিয়েছিল। পরে সেতু মেরামত করা হয়।’
এ সড়কে চলাচলকারী ট্রাকচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘একেকটি ব্রিজ পাড় হওয়ার সময় মনে হয়- এই বুঝি ভেঙে পড়ল। আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সেতু পাড় হতে হয়।’
টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি বলেন, টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের বেইলি ব্রিজগুলোর স্থানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ এবং সড়কটি প্রশস্ত করা প্রয়োজন। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাথে আরিচা হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াত সহজতর হবে।
টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের(সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান বলেন, ‘টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কে বেইলি ব্রিজগুলোর জায়গায় স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ এবং এ সড়ক উন্নয়নের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। একনেকে প্রস্তাবটি পাস হলে উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে’। দ্রুতই প্রস্তাব পাশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টাঙ্গাইলের নান্দুরিয়া চকবাজারে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১মার্চ) দেলদুয়ারের আটিয়া নান্দুরিয়া চকবাজার আঞ্চলিক বিএনপি...