নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে টাঙ্গাইল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচী চলাকালে পৌর সভার সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকাতে জন দূর্ভোগ পৌঁছায় চরমে।
এই অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, জেলা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিব্বির আহমেদ আজমী, সিনিয়র সভাপতি শাহনেওয়াজ পারভীন, সহ-সভাপতি শওকত হোসেন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোতালেবসহ জেলার ১১ টি পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, পৌরসভার মাধ্যমে জন্ম সনদ, বিভিন্ন প্রতিষেধক টিকা, মশা নিধনসহ প্রতিটি মানুষের সার্বিক সেবা প্রদান করা হয়। যারা এই সেবা প্রদান করেন তারা অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে বেতন পাচ্ছে না। তাদের পরিবারের সদস্যরা খুব মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, সেদিক বিবেচনা করে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
এদিকে কর্মসূচি চলাকালে সকল প্রকার নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ থাকায় সেবা গ্রহীতারা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হন।দূর্ভোগের শিকার গৃহিনী রুমান পারভীন রিমি জানান, তিনি তার সন্তানের জম্ম সনদের জন্য পৌর সভায় এসেছিলেন। কিন্তু সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকাতে তিনি জন্ম সনদ উঠাতে পারেনি। বাসার সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখে তিনি এসেছেন বলে তিনি জানান।আবার আরেক দিন আসতে হবে ভেবে তিনি বিরক্তি ব্যক্ত করেন।
পৌর সভার নাগরিক সনদ নিতে আসা টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারার জসিম উদ্দীন জানান, আমি ব্যবসার কারনে খুবই ব্যস্ত থাকি। আজ সময় বের করে নাগরিক সনদ নিতে এসেছিলাম। কিন্ত দিতে পারলাম না। আবার কবে সময় পাব জানি না।
জন দূর্ভোগ সর্ম্পকে টাঙ্গাইল পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের এই কর্মসুচী। পরের কর্মসূচীগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার জন দূর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে কর্মসূচী প্রনয়ন করার চেষ্টা করবো। জনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে এই ধরনের কর্মসূচী পালনের পক্ষে আমিও এক মত নই।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর সভার প্যানেল মেয়য় মাহমুদা বেগম জেবু বলেন, পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবী গুলো যৌক্তিক কিন্তু সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। সীমিত পরিসরে হলেও সেবা কার্যক্রম গুলো চালু রেখে তারা অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে পারতেন। আমি আশা করি ,ভতিষ্যতে এই ধরনের কর্মসূচী পালন কালে বিষয়টি তারা মনে রাখবেন ।
টাঙ্গাইলে হাত বদলে বেড়েছে দ্বিগুণ অবৈধ বালুঘাট-এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : যমুনার তীর ঘেঁষে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালুঘাট। স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রীয়তা ও নগদ টাকার প্রলোভনে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়...