নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাউসাইদ গ্রামে নাজমা (৩৫) নামে এক গ্রহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।নিহত ওই গ্রামের দয়াল মিয়ার স্ত্রী।
স্বামীর দাবি সে আত্মহত্যা করেছেন। আর ছেলে দাবি তার মাকে পারিবারিক কলহের জেরে মেরে ফাঁসে ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্থানীয়রা বলেন, নিহতের ছেলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তার মাকে হত্যা করে ফাঁসে ঝুলিয়ে রেখে ছিলে।
কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।
অপরদিকে জেলার কালিহাতী উপজেলায় ফাহিমা (১৯) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধু উপজেলার বল্লা চকপাড়া গ্রামের দুলাল মিঞার ছেলে সিয়ামের স্ত্রী ও উপজেলা সদরের দক্ষিণ বেতডোবা গ্রামের ফরমান মিঞার ছোট মেয়ে।
জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে নিজ ঘরের আড়ের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে দেখে লাশ মেঝেতে শুয়ানো। বাড়িতে শ্বাশুরি ছাড়া আর কাউ নেই।
নিহতের মামা নুরুল ইসলাম জানান, প্রেমের সম্পর্করে পর ৪ মাস আগে সিয়ামের সাথে ফাহিমার বিয়ে হয়। এরপর কয়েক দফা নির্যাতনের পর ৭০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। হঠাৎ করে এরকম খবর শুনে আসলেও আত্মহত্যার কোনও কারণ ও লক্ষণ আমারা দেখতে পাইনি। বাড়িতে শ্বাশুরি ছাড়া সবাই পলাতক ।
কালিহাতি থানার সহকারি পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন খবর পেয়ে রাত ১১ টায় আমরা মেঝেতে শুয়ানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
কালিহাতি থানার ওসি হাসান আল মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।