স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ া এরই ধারা বাহিকতায় জেলা সদর হাসপাতালে ১০০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এছাড়া ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ৬ বেডেরে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর ও চীন ফেরত দুইজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।হাসপাতালে প্রথমে ৬টি বেড নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হলেও পরবর্তীতে পুরো ট্রমা সেন্টারের ১০০ বেডকে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ১১ উপজেলার প্রতিটিতে দুই থেকে ৮টি করে বেড নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
এবিষয় টাঙ্গাইল জেলা স্বাস্থ্য সেবা কমিনিটির সাধারন সম্পাদক,টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন টাঙ্গাইলের সাধারন মানুষের কোন ধরনের বিভ্রান্ত যাতে না হয় সেই বিষযে আমরা সচেষ্টায় নিয়োজিত আছি ।
বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.সদর উদ্দিন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস তেমন কোন ভয়ঙ্কর না। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না গিয়ে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখলে এটি ছড়াবে না। এ ভাইরাসে মৃত্যুর হার খুব কম। ৭০ বছরের উপরে ব্যক্তির মৃত্যুর হার শতকরা ৫ ভাগ আর তার নীচে মৃত্যুর হার ২ ভাগ। তারপরও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ইতপূর্বে গতকাল দিনভর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করনা ভাইরাস সচেনতা করনীয় বিষয়ক লিফলেট বিতরন করা হয়। একযোগে জেলার প্রতিটি থানা এই কর্মসূচি পালন করে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ মহাসড়কে যাত্রী বাহী যানবাহনে এই লিফলেট বিতরন করেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,মানুষের ভিতরের যে আতংক সেই আতংক দুর করার জন্য পাশাপাশি কোন গুজবে মানুষ বিভ্রান্ত না হয় মানুষকে সচেতন করাই আমাদের এই কর্মসৃচী গ্রহন করা হয়েছে।