নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ইফতারের চাঁদা না দেওয়ায় টাঙ্গাইল শহরের সাবেক ক্রিকেটার ও আবর্তন-৯৯ এর সাধারণ সম্পাদক রায়হান ইমন (৩৫) কে কুপিয়েছে আকাশ, সাগর ও অন্তু সহ ১৫/২০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদক ও ছিনতাই সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ইমনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ১০ থেকে ১৫টি সেলাই করা হয়েছে। ইমন শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে।
আবর্তন-৯৯ এর অন্যতম সদস্য দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান মারুফ সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শনিবার রাত আটটার দিকে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তৃতীয় তলায় ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমন অপারেশন থিয়েটারে রয়েছে।
সরেজমিনে হাসপাতালে গেলে রায়হান ইমন জানান, শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে শহরের বোয়ালী এলাকার আলাল হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী আকাশ ও তার মামাত ভাই সাগর আমার আমার বাসায় আসে। তারা একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করবে বলে আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি বলি পওে দেখবো নি। এরপর শনিবার ইফতারের পর আমি ও আমার বন্ধুরা গোডাউন ব্রীজের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে টা খাচ্ছিলাম। এসময় সন্ত্রাসী আকাশ, সাগর ও আদালত পাড়ার অন্তু এসে আমার সাথে কথা বলবে বলে চায়ের দোকানের সামনে থেকে একটু দূরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের আরো ১৫ থেকে ২০ জন বন্ধু ছিল। সেখানে নিয়ে তারা আমাকের জিজ্ঞেস করে কেন তাদের ইফতার পার্টির জন্য চাঁদা দিলাম না। এই বলেই তাদের হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথালী কুপাতে থাকে। পরে আমি দৌঁড়ে অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করতেই পরে যাই। এসময় তারা দৌড়ে এসে আমাকে কুপাতে থাকে। পরে আমার অন্যান্য বন্ধুরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর আমি অচেতন হয়ে পরি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছি। সন্ত্রাসী আকাশ, সাগর ও অন্তুর নামে ইতিপূর্বে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা সহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নানা অভিযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, রাত আটটার দিকে প্রায় অচেতন রক্তাক্ত অবস্থায় ইমনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার সারা শরীরে কোপের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রায় ১০/১৫ টি সেলাই করা হয়েছে। তবে ইমন শঙ্কা মুক্ত নয়।