নিউজ আলোকিত বাংলাঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় টাঙ্গাইলের ২৫ রাজাকারের নাম রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে প্রাপ্ত টাঙ্গাইলের ২৫ রাজাকার হচ্ছেন-
১। সুরুজ মিয়া, সৈয়দ আলী প্রধান, সাতঘরপুর, টাঙ্গাইল, ২। আব্দুল হালিম খান, আব্দুল গনি খান, পাকুটিয়া, নাগরপুর, ৩। এস এম রশিদুজ্জামান তালুকদার, এসএম ইশা তালুকদার, পটল, কালিহাতী, ৪। মাসুম ওরফে আনোয়ার হোসেন, রফিকুল হোসেন, গুড়াবাড়ি, সদর, ৫। মওলানা আব্দুস সামাদ দেওয়ান, গ্রাম–পরাইখালি, বর্ণী, বাসাইল, ৬। মৌ. (২য়) ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, গ্রাম ও পো.–করটিয়া, টাঙ্গাইল সদর, ৭। মওলানা মো. আব্দুল হাই সালাফি (লাহোরী), হতেয়া, বাসাইল, ৮। প্রফেসর আব্দুল খালেক, পিতা–মৃত মেসের উদ্দিন, কাকুয়া, সদর- বর্তমান ঠিকানা– বিশ্বাস বেতকা, সদর, ৯। প্রফেসর আব্দুল হাকিম, পিতা– মৃত মেসের উদ্দিন, কাকুয়া, সদর-বর্তমান ঠিকানা– বিশ্বাস বেতকা, সদর, ১০। ডা. শওকত আলী ভূঁইয়া, বড় মেধার, ধলাপাড়া, ঘাটাইল, ১১। হাকিম হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবুর রহমান, পিতা- সাঈদ আব্বাস আলী, মাইজহাটি, ঘাটাইল, বর্তমান ঠিকানা- থানা পাড়া, টাঙ্গাইল সদর, ১২। ফজলুর রহমান তালুকদার, পিতা- মুজাজ্জের আলী তালুকদার, কুড়ালিয়া, মধুপুর, (এমএল কাউন্সিল), ১৩। আ. খালেক, গ্রাম–আভুঙ্গী, পো. ও থানা–গোপালপুর, ১৪। জোয়াহের আলী খান, গ্রাম–বানিয়ারা, কালিহাতী, ১৫। মির্জা আমজাদ হোসেন, পুখুরিয়া, বেলতৈল, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল,১৬। নজরুল ইসলাম খা, বাগুন্তা, ইউসি-দিগর, ঘাটাইল, ১৭। আবুল কাশেম, গৌরিশ্বর, ঘাটাইল, ১৮। শহিদুল্লাহ খান ইউসুফজাই, পিতা- রফিকুল হোসেন ইউসুফজাই, চারান, কালিহাতী-বর্তমান ঠিকানা- সাবালিয়া, টাঙ্গাইল, ১৯। আবুল মনসুর মির্জা, দিঘুলিয়া, টাঙ্গাইল সদর, ২০। মির্জা আব্দুল হাফিজ, কাগমারী রোড, টাঙ্গাইল সদর, ২১। মো. আব্দুল জব্বার মিয়া, কলেজ পাড়া, টাঙ্গাইল সদর, ২২। মো. আজম খান, লাউহাটি, দেলদুয়ার, ২৩। আব্দুল বাছেত, ধুনাইল, ধুবুরিয়া, নাগরপুর, ২৪। ক্যাপ্টেন (ডা.) আব্দুল বাছেদ, পিতা- আইনুদ্দিন সিকদার, শাহানজানী, কালিহাতী এবং ২৫। আব্দুর রাজ্জাক আনসারী, পিতা–মৃত মাইজউদ্দিন আনসারী, বল্লা, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
এ বিষয়ে ’৭১-এর কাদেরিয়া বাহিনীর একাধিক বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন, ২০১১ সালে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ৭৬জন রাজাকার কমান্ডার, রাজাকার ও পাক হানাদারের দালালের নাম প্রকাশ হয়েছিল। ওই তালিকাটিও পূর্ণাঙ্গ ছিলনা। তবে আরো যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত রাজাকারদের নাম সংযুক্ত করা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।