মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে জেগে ওঠা ফসলি জমির (ভিট) মাটি নামে বালু উত্তোলন করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এমন সংবাদ পেয়ে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় উপজেলার সিরাজকান্দি বাজার এলাকা নূহ মেম্বার বালুঘাট ও মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জিগাতলা-কুকাদাইর এলাকায় খোকার বালুর ঘাটে এ অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
এসময় যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ লাখ টাকা করে গত সোমবার ৪জন ও মঙ্গলবার ৩ জনকে মোট ৭ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ড প্রাপ্তরা- উপজেলার পলশিয়া গ্রামের নববছ মন্ডলের ছেলে জাহিদুল মন্ডল, ফজলুল হকের ছেলে শেখ মিজান, আব্দুল আলীমের ছেলে মমিন মন্ডল, পাটিতাপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আল মামুন, কুকাদাইর গ্রামের ইনছান আলীর ছেলে শাহাদত, সদর উপজেলার বেলকুশি গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে জাকারিয়া, ঘাটাইলের সাধুর গলগন্ডা গ্রামের মিনাল হোসেনের ছেলে সবুজ আহমেদ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান। এময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন, ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক টিটু চৌধুরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান জানান- দীর্ঘদিন ধরে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা গোপনে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাহাড় গড়ে তোলেন। যা স্থানীয় উপজেলা ও জেলার আশপাশ এলাকায় বিক্রি করেছিল। এমন এক গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকালে ও মঙ্গলবার সকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে দুইদিনে ৭জনকে ৭ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। তিনি আরও জানান- অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।