মোঃ মশিউর রহমান /টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদীর দু পাড়ের মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক ট্রলি ট্রাক্টর ভরে নদীর তীরের মাটি সংগ্রহ করছে স্থানীয় কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। আর এসব মাটি তারা বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী ইট ভাটাগুলোতে। দীর্ঘদিন যাবত এসব মাটি বিক্রির কাজ চললেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা এসব জমিতে চাষাবাদ না করে টাকার লোভে নদীর তীরের মাটি বিক্রি করছেন। এতে করে ভাঙ্গন আতঙ্কে পড়ছে নদী পাড়ের এলাকাগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভাড়রা থেকে মোকনা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীর দুই তীরে ১৫ থেকে ২০ টি স্থানে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এই এলাকায় শামসুল হক সেতু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে (শেখ হাসিনা সেতু) দুটি সেতু রয়েছে। সেতু দুটির অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে থেকেও মাটি কাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিটি স্থানে শত শত শ্রমিক মাটি কেটে ট্রলি ট্রাক্টরে তুলছে। পরে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায়। পাঁচতারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ,২০-৩০ জন শ্রমিক নদীর তীর ঘেঁষে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রলার বোঝাই করছে। এভাবে প্রতিদিন তারা ফসলি জমির মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত থাকেন। মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, আমরা ভাল মুজুরী পাই । সারাদিনে ২০-২৫ টি ট্রলি ভরি। এতে আমাদের ভালই আয় হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের প্রভাব খাটিয়ে মাটির ব্যবসা করে যাচ্ছে। কৃষককে টাকার লোভ দেখিয়েও তারা অসাধু উপায়ে মাটি বিক্রি করছে।