মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২৫ অক্টোবর গণহত্যা দিবসে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণীয় এই দিনটি পালনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম নাগরপুরে মুক্তিযুদ্ধের নির্মম ইতিহাস মিশ্রিত এই দিবস পালন করা হয়নি। এ কারনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও সুশীল সমাজের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকাবাসীরা বলছে, প্রতিবছর বনগ্রাম এলাকায় অবস্থিত গণকবরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ নানা শ্রেণী-পেশার জনসাধারণের সমাগম ঘটে। শ্রদ্ধাঞ্জলি সহ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। কিন্তু এবারের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কিছু সংখ্যক এলাকাবাসী দিনটি পালন করলেও দেখা যায়নি নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটি না থাকায় এদিক থেকেও দিবসটি পালনে কাউকে উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। নাগরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমরা নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে প্রতিবছর এই গণহত্যা দিবস পালন করতাম। এই দিনে (২৫ অক্টোবর) শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা বনগ্রাম গণকবর প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়। বর্তমান নাগরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি পালন করে নাই, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। বর্তমানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটি নেই বলেই এমনটা হয়েছে বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে তাদের স্মরণে ও শ্রদ্ধা নিবেদনে অতিদ্রুত সকল জেলা- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই-জাহান এর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রামের রসুলপুর গ্রামে হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলায় সাধারণ গ্রামবাসী সহ মোট ৫৭ বীর মুক্তিযোদ্ধা কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ও আশেপাশের প্রায় ১২৯ টি বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়। হানাদার বাহিনী চলে গেলে গ্রামবাসীদের সহায়তায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বনগ্রাম এলাকায় গণকবর দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্র মতে, ১৯৭১ সনের ২১ অক্টোবর বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে গান-বোট নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী বনগ্রাম এলাকা আক্রমণ করে এবং শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১ মেজর সহ ৩ জন নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে পাক সেনারা ব্যাপক প্রস্ততি নিয়ে ২৫ অক্টোবর রাতে বনগ্রাম এলাকা আক্রমণ করে।
টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক
স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে আয়োজিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক পড়ে। এসময় চুরি থেকে রেহাই পাননি গণমাধ্যম...