অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এবারের নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর অপমানিত হওয়ার ঘটনার রেশ না কাটতে কাটতেই এবার এলো নির্বাচন বন্ধের উকিল নোটিশ। একই সঙ্গে সমিতিতে শিল্পীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার খবর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর মঙ্গলবার নির্বাচন বন্ধের উকিল নোটিশটি পাঠান অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি অভিনেতা সোহেল খান ও মোহাম্মদ হোসাইন লিটনের পক্ষে এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে অভিযোগকারীরা লেখেন, সমিতি থেকে তাদের সদস্যপদ অনৈতিকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে শিল্পীদের ভোটার তালিকায় জায়গা করে দেয়াসহ ৯টি কারণ উল্লেখ করে তিনদিনের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন স্থগিতের অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
তবে নোটিশটি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। একই কথা জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘নোটিশ পাইনি। আর নোটিশ দিয়ে তো নির্বাচন বন্ধ করা যায় না। এটার এখতিয়ার শুধু আদালতের।’
অন্যদিকে শিল্পী সমিতিতে নির্বাচনের আগে কয়েকদিন শিল্পীদের সব প্রকার আড্ডা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘একটা নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পীদের দুর্নাম হবে এটা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজ বাজে আচরণ করেছেন। আমি এটা মানবো না কিছুতেই।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এখানে চলচ্চিত্রের শিল্পী সমাজের ইমেজ জড়িত। তাই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমাকে কঠোর হতেই হলো। আমি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি যে নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সমিতির ভেতর আড্ডাবাজি, চা খাওয়া বা ভোটের প্রচারণা করা যাবে না। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সমিতির কমিশনারদের কার্যালয়। এখানে প্রার্থী-সমর্থকদের কোনো রকম হট্টগোল করা যাবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে আমি ব্যবস্থা নেবো।’